পিরোজপুর থেকে: কম খরচ ও শ্রমে সব মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত তৈল জাতীয় শষ্য তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে পিরোজপুরের কৃষকদের।
আমন ধান কাটার পর খেত যখন খালি পরে থাকে তখন তিল চাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগল তিল খায় না তাই রক্ষণা-বেক্ষণে কোনো খরচ হয় না। কম খরচ ও শ্রমে তিল চাষ করে ব্যাপক উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। হেক্টরে চাষে ব্যয় হবে সর্বোচ্চ ৪/৫ হাজার টাকা। এক থেকে দেড় টন তিল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার মিরুখালী গ্রামের কৃষক আ. রাজ্জাক খান (৫০) জানান, দুই বছর ধরে তিনি একটি বারি তিল-৩ চাষ করেন। গত বছর ৫ কাঠা (১৬শতক) জমিতে ৫০ টাকায় আধা কেজি বীজ তিল ক্রয় করে চাষ করে দুই মণ তিল পেয়েছেন। উৎপাদিত তিল দিয়ে তৈল বানিয়েছেন আ. রাজ্জাক। এ বছর তিনি ৪ কাঠা জমিতে তিল চাষ করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক মো. মোজাম্মেল হক (৫২) জানান, গত বছর ৫ কাঠা জমিতে চাষ করে দেড় মণ তিল উৎপাদন করে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এ বছর মোজাম্মেল ৯ কাঠা জমিতে তিল চাষ করেছেন।
কৃষক মো. মামুন খান (৩৫) জানান, এ বছর ১৫ কাঠা জমিতে তিল চাষ করতে মাত্র ৬৭০ টাকা খরচ হয়েছে।
মিরুখালী ইউনিয়নে দ্বায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বলেন, তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিলের ব্যবহার এবং তিল থেকে উৎপাদিত তৈল আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। কৃষকদের তিল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম