তীব্র গরমে যেভাবে কোরবানির পশুর যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা

166

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। গরমে পশুর বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন। খাওয়াচ্ছেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ক্রেতারাও খামারে গিয়ে পশু দেখা আর দাম যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন। রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা, পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় গড়ে ওঠা মিল্ক ল্যান্ড অ্যগ্রো খামার ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র।

ষাড়ের নাম ইন্দো ব্রাজিলিয়ান, সুঠাম গড়নের এই পশুটির উচ্চতা বেশ। নারায়নগঞ্জ জেলার পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় গড়ে ওঠা মিল্ক ল্যান্ড অ্যাগ্রো খামারের এই ষাড়টিকে দেখতে এরইমধ্যে ক্রেতা, দর্শনার্থী আর ইউটিউবারদের আনাগোনা শুরু হয়েছে।

খামারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আকরাম জানালেন, ইন্দো ব্রাজিলিয়ান, এই প্রজাতির এতো বড় ষাড় অন্য কারও খামারে নেই। এর প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি।

এই খামারের সুলতান, বুলডোজার নামের ষাড় দুটি ঘিরেও আগ্রহের কমতি নেই। আরো রয়েছে দেশাল, শাহীয়াল, ফিজিয়ান, অষ্ট্রেলিয়ানসহ নানা প্রজাতির বড় আকারের পশু। খোলামেলা, পরিচ্ছন্ন আর স্বাস্থকর পরিবেশে এই খামারে রয়েছে আড়াই’শ মতো কোরবানির পশু। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসছেন খামারে। কেউবা পছন্দের পশুর সঙ্গে ছবিও তুলছেন।

বড় আকারের পশুর পাশাপাশি রয়েছে মাঝারি আর ছোট পশুও। রয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতির ষাড়। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি পশুর বিশেষ যত্ন নেয়া হচ্ছে। খাবার পরিবেশন ও পরিচর্যায় রাখা হচ্ছে বাড়তি নজরদারি।

খামারের মালিক জানালেন, কোরবানির সময় ক্রেতারা সরাসরি খামারে এসে পশু কিনতে পারবেন। পাশাপাশি অনলাইনেও পশু কেনার ব্যবস্থ রয়েছে।

মিল্ক ল্যান্ড এগ্রো খামারে কোরবানির পশুর পাশাপাশি গাভীও রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে দুইশ থেকে আড়াইশ’ লিটার দুধ। খামার থেকেই দুধ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে খামার আরো বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে খামার মালিকের।