তেল-পেয়াজের দাম কমলেও এবার দাম বাড়ছে ডাল-চিনির। এতে করে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের উনুন ঘরে কোনো ভাবেই যেন শান্তি মিলছে না। কখনও তেল কখনও পেঁয়াজ কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের। বর্তমানে দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেল ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে হলেও তাতে সন্তষ্ট নন খরিদ্দাররা। যে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা কেজি ছিল তা এখনও শতকের ঘরে। কিন্তু উপায় কি?
সম্প্রতি রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ তেলের দাম কমলেও সব ধরনের ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে ভোজ্য তেল, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।
কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারিতে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি খুচরা বাজারের নিয়মিত মনিটরিং করা হলে এ দুর্নীতি বন্ধ হবে।
ডালের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির বুকিং বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই বেশি দরেই পণ্যটি কিনতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার হাজী আবদুর রহিম বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় মশুরের গোটা এবং ছোলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও বেড়ে গেছে।
তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও বুকিং রেট বাড়ার অজুহাতে নিয়ন্ত্রণে আসছে না চিনির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজার একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি। সামনে আরও বাড়তে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২১জানু২০২০