আহমেদ নাসিম আনসারী, চলতি মৌসুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাগুলো হচ্ছে- যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ দশ জেলায় এ মৌসুমে মোট ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো উন্নতমানের বীজ, পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষীদের মাঝে সরবরাহ করায় রোপা আমন ধানের উৎপাদন ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তারা আশা পোষণ করছেন।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দশ জেলায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ হেক্টর জমিতে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলাওয়ারী রোপা ধান চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে-যশোর জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩,৫২,৫৩৭ মেট্রিক টন, নড়াইল জেলায় ৩০ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ৭৫ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ জেলায় ৮৭ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন, মাগুরা জেলায় ৫০ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন, কুষ্টিয়া জেলায় ৭৫ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯০ মেট্রিক টন, মেহেরপুর জেলায় ২৩ হাজার ৮০৪ হেক্টর জমিতে ৬৪ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪২ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৮ মেট্রিক টন, সাতীরা জেলায় ৯৮ হাজার ৯৯৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন, খুলনা জেলায় ৭৫ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন এবং বাগেরহাট জেলায় ৬৯ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। কৃষি ব্যাংকসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক আবাদ কার্যক্রম সফল করতে কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় লোনের ব্যবস্থা করে রেখেছে।
কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর ফসল বলে সেচ লাগেনা। তাই আমন আবাদ করে তারা লাভবান হবেন।
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছবি হরি দাস জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে ইরি-বোরো ধান ও পাট কাটার পর রোপা ও বোনা আমন ধান আবাদ করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ অঞ্চলে উৎপাদিত ধান এলাকার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় রফতানী করা হয় বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সারা বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৪০.১৫ হেক্টর জমিতে এবং স্থানীয় জাতের ১২.০৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ১২৮.৩৬ মেট্রিক টন।
- যেভাবে ভেড়া পালনে লাভবান হবেন
- যশোরে ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন অনুশীলন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- খুলনার ফুলতলায় বিনামুল্যে নাবি জাতের আমন ধানের চারা বিতরণ
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম