দাম ভালো থাকায় বেড়েছে আউশ ধানের চাষ

449

দাম ভালো থাকায় মেহেরপুরে বেড়েই চলেছে আউশ ধানের চাষ। সেচ খরচ কম লাগায় প্রতি বছরই আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা। আউশ চাষ বাড়াতে প্রণোদনা হিসেবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সার ও বীজ। সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। মেহেরপুরের মাঠ জুড়ে এখন আউশের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।

চলতি মৌসুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় মেহেরপুরে আউশ ধানের চাষ ভালো হয়েছে। কিন্তুু পোকার আক্রমনে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ধান গাছের মাঝের অংশে পোকায় কেটে দিচেছ ফলে কয়েকদিনের মধ্যে গাছের কান্ড ও পাতা শুকিয়ে হলুদ রং ধারন করছে। কয়েক দফা বালাই নাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না সুফল। পোকা দমন করা না গেলে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছে তারা।

জেলার গাংনী উপজেলার কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, আউশ ধান চাষে বাড়তি সেচ লাগে না। বর্ষ মৌসুমে উপর বৃষ্টির পানিতেই ধান হয়ে যায়। যার ফলে খরচ কম হয়। বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় ১৮ থেকে ২০ মণ। একই এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, বোর চাষে সেচ খরচ বেশি লাগে কিন্তু আউশ চাষে সেই সেচ খরচ লাগে না। এবারে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানও হয়েছে ভালো। কিন্তু মাজরা পোকার আক্রমন রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বালাই নাশক প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে লাভজনক হবে ধান চাষ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হিসেবে চলতি আউশ মৌসুমে ২০ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবারে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। কৃষকদের আউশ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলায় সাড়ে ৩ হাজার কৃষকদের মাঝে আউশের বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে.এম সাহাবুদ্দিন জানান, চলতি আউশ মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঠে ধানও ভালো আছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে আউশ মৌসুমে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরন করা হয়েছে। বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি চাউলের দামও বেশি হওয়ার কারনে কৃষকরাও ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে আশা করি গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না বিশেষ করে মেহেরপুরে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭জুলাই২০