দিনাজপুরে কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত চার দাঁতের শাহিওয়াল জাতের বিশালদেহী ষাঁড় ‘রাজাবাবু’। ২৫ মণ ওজনের ‘রাজাবাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা।
লাল রঙের এ ষাঁড়টির মালিক বাবু হোসেন। তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৭ নম্বর বিজোড়া ইউনিয়নের বহলা হাজীপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তার বাড়িতে ছোট ‘রাজাবাবু’ও রয়েছে। তার দাম আড়াই লাখ টাকা।
বাবু হোসেন পেশায় একজন কৃষক। তিনি জানান, প্রায় তিন বছর ধরে তিনি রাজাবাবুকে লালন-পালন করছেন। ষাঁড় দুটির জন্য প্রতিদিন খাবার লাগে আড়াই হাজার টাকার। রাজাবাবুর কাবার মেন্যুও রাজকীয়। তার নিয়মিত খাবারের মেন্যুতে থাকে কলা, চিড়া, বেলের শরবত, চিটা গুড়, মাল্টা, খড়, ভুসি ও ভুট্টার আটা, চালের খুদ ও ছোলা বুটসহ অন্যান্য দামি খাবার। শুধু আদর-যত্নে নয়, রাজাবাবু স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রয়েছেন সার্বক্ষণ চিকিৎসক। রাতে রয়েছে পাহারাদার। মাথার ওপরে ঘোরে ফ্যান।
বাবু হোসেন বলেন, ‘রাজাবাবুর চার দাঁত। এটি দৈর্ঘ্যে ৮ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট। তিন বছরে ওজন দাঁড়িয়েছে ২৫ মণ। দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ টাকা। আর ছোট রাজাবাবুর বয়স দুই বছর। ওজন আনুমানিক ৭-৮ মণ। এর দাম চাচ্ছি আড়াই লাখ টাকা।’
বিশালদেহী ষাঁড়টিকে সামলে রাখা খুবই কষ্টকর। কৃষক বাবু হোসেন জানান, অনেক পরিশ্রম করে তিনি এটি বড় করেছেন। এ অঞ্চলে এত বড় গরু আর নেই। এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন তার রাজাবাবুকে দেখতে আসেন। যদি কোনো কারণে গরুটি গোয়ালঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে তাহলে এলাকার লোকজন ধরতে সহযোগিতা করেন।
পশুটির চিকিৎসক মো. মোস্তফা বলেন, গরুর দৈর্ঘ্য এবং বুকের পরিধি মেপে সম্ভাব্য ওজনের যে হিসাব করা হয়, সে অনুযায়ী বাবু হোসেনের ষাঁড়টির ওজন ১ হাজার ১১ কেজির মতো। এবার কোরবানিতে তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করতে চান। আশা করছি, ভালো দামে এটি বিক্রি হবে।