দিন দিন পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে

486

1544454600_2

সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হলেও মানুষের আচরণ ও অবহেলার কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে তার চারপাশের পরিবেশ। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বাংলাদেশে পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণ একটি বড় সমস্যা। উপর্যুপরি বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবায়ু ও আবহাওয়ার অস্থিরতাসহ অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যা এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী। এসবের মূলে মানুষের কর্মকাণ্ডই প্রধানত দায়ী। যথেচ্ছ বৃক্ষ নিধন, অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, যানবাহনের কালোধোঁয়া, জোরালো শব্দের হর্ণ, আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা ও ইটভাটার অবস্থান, ইত্যাদি পরিবেশকে দূষিত করছে। পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, চীন বিশ্বকে পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। চীনের সরকার তিব্বত অঞ্চলে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

২০২০ সালে আরো ও বড় আকারের বাঁধ নির্মাণের ফলে চীনের এক পঞ্চমাংশ নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাবে। অনেক নদীর পানি শুকিয়ে ছোট জলাশয়ে পরিণত হতে চলেছে। ৩৫০টি বড় হ্রদ একেবারে হারিয়ে গেছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব চীনের সীমান্ত ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও পড়ছে। চীনের এসব প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিমালয়জুড়ে ব্যাপক হারে বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে উঁচু ভূমিগুলোতে অনেক প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটেছে। তিব্বতের মালভূমি এখন বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি উষ্ণ। এর পরিবেশগত প্রভাব এশিয়া ছাড়িয়ে অন্যান্য স্থানেও পড়ছে। বাংলাদেশও পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যেই আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে। দেশে এখনও বন্ধ হয়নি পলিথিনের ব্যবহার। পলিথিনের ব্যবহারের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণহীনতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু মানুষ নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে চলছে। পলিথিন ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হচ্ছে। সেগুলো পানিবাহিত হয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণে ফিটনেসবিহীন যানবাহন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এসব নিম্নমানের গাড়ি আমাদের পরিবেশকে ধুলিময় করে তোলে যা মানবস্বাস্থের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করা দূরূহ হওয়ায় প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। নরওয়েভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনআইএলইউয়ের সহায়তায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ঢাকা শহরের বায়ুর গুণগত মানের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণার তথ্যমতে, ঢাকার বাতাসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সালফার ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি রয়েছে এবং এর অধিকাংশ এসেছে নিম্নমানের যানবাহন থেকে। পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ আয়োজন রয়েছে। তবুও বাংলাদেশ বর্তমানে পরিবেশগত সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে সবচেয়ে তলানির দ্বিতীয় দেশ।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এই সূচকে বাংলাদেশ ১৭৯তম। পরিবেশ সুস্বাস্থ্য সূচকে এদেশের অবস্থান ১৭৮ রাষ্ট্রের মধ্যে ১৭৮তম। অর্থাৎ সবচেয়ে তলানির দেশ। বায়ুমান সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্বিতীয় খারাপ অবস্থা আমাদের দেশের। অবস্থান ১৭৯তম। খাবার পানি ও স্যানিটেশনে ১২৮ দেশের মধ্যে ১২৮তম/ কৃষি, বায়ুদূষণ ভারি ধাতু, প্রতিবেশ, বন ও সবুজ আচ্ছাদন, জলবায়ু ও জ্বালানি খাতে ও আমাদের অবস্থান পেছনের কাতারে। পরিবেশবিনাসী কার্যক্রম এখনই বন্ধ না করলে ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়নে অভিষ্ঠ অর্জনেও আমাদের পিছিয়ে পড়া দেশের কাতারেই থাকতে হবে। সম্পদ ও প্রাচুর্যে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বের উন্নত দেশসমূহকে পিছনে ফেলে সুষ্ঠু মানুষের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভুটান। সেই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রবণতা খুব বেশি।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যত জনবহুল জায়গাই হোক, সবখানেই নিরবতা একটা শান্তি শান্তি ভাব কোথাও ধুলাবালি কিংবা ময়লা আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায় না। এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভুটানে কঠোর আইন রয়েছে। আইনের বাস্তবায়ন রয়েছে। ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ফেললে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয়। বিপন্ন পরিবেশের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মানব পরিবেশ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পরিবেশের অবনতির জন্য প্রধান দুটি কারণকে চিহ্নিত করা হয়। কারণ দুটি হলো-১. উন্নত দেশগুলোতে অপরিকল্পিত আর্থিক উন্নয়ন, অতিভোগ ও অপব্যয়, ২. উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিরাজমান দারিদ্র্য।

১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরো শহরে ধরিত্রী শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য শিল্পোন্নত দেশের অতিভোগ ও উন্নয়নশীল দেশের চরম দরিদ্রদের কথা পুনরায় বলা হয়। এতে বোঝা যায়, পৃথিবীর আর্থিক ও সামাজিক ভারসাম্য পুনরূদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিপন্ন পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর খনিজ জ্বালানির ২৫ শতাংশ ব্যবহার করছে এবং বায়ুমন্ডলে মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের ২২ শতাংশ ছাড়ছে। এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ এবং তারা মোট জ্বালানির মাত্র ১৮ শতাংশ ব্যবহার করছে। এসব তথ্য থেকে প্রতিয়মান হয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলো যেসব জটিল পরিবেশগত সমস্যার সম্মুখীন তার অধিকাংশের জন্য উন্নত দেশগুলোর অতিভোগই দায়ী।

বিশ্বজুড়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে বাড়বে বন্যা ও সাইক্লোন। ফলে মারাত্মকভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দূষণের কারণে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতিবছর যতো মানুষের মৃত্যু হয় তার ২৮ শতাংশই মারা যায় পরিবেশ দূষণজনিত অসুখ-বিসুখে। কিন্তু সারা বিশ্বে এ ধরণের মৃত্যুর গড় মাত্র ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার বলেছেন, নগরাঞ্চলে দূষণ ও পরিবেশের অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশকে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে। এর ফলে দেশটির ভালো প্রবৃদ্ধিও এখন হুমকির মুখে। এজন্য জলাভূমি দখল, ক্ষতিকর বর্জ্য ঠিকমত না ফেলা ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়েছে।

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ইনহ্যানসিং অপারচুনিটি ফর ক্লিন এন্ড রিজিলিয়েন্ট গ্রোথ ইন আরবান বাংলাদেশ: কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০১৮ শীর্ষক লঞ্চিং এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে- (১) পরিবেশগত অবনতির মূল্য, (২) পরিচ্ছন্ন ও টেকসই শহর এবং (৩) পরিচ্ছন্ন শিল্প প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে সবুজ অর্থায়ন, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির প্রসার, বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নতকরণ এবং পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উপর ও গুরুতারোপ করা হয়েছে। বেশ কয়েকবছর পূর্বে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রকাশিত বিশ্বের ৯০ জন পরিবেশ বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এক বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আবহাওয়া চরম আকার ধারণ করবে, তীব্রমাত্রার সাইক্লোন হবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন জীবিকা ও অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়বে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই বেশি ক্ষতির শিকার হবে। এতে আরও বলা হয়, ২০৫০ সালে সিডর এর মতো সাইক্লোনে তিন মিটার উঁচু জলোচ্ছ¡াস হতে পারে। এতে প্রায় ৯৭ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গরিবরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফসল উৎপাদন কমে যেতে পারে, ফলে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়তে পারে। এজন্যই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে পরিবেশের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিখাতের বাইরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্যও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মালয়েশিয়া সরকারের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোমাকোয়ামি সুন্দরম বলেছেন, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর ৮০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে রয়েছে। অপুষ্টির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক জিডিপির ৫ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অপুষ্টি ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমাতে হলে দুটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। এক, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে ও পুষ্টিকর খাবার সহজলভ্য করতে হবে। দুই, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ও পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বৃক্ষনিধন, প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট থেকে বিরত থাকতে হবে। কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে।

নদীনালা খালবিলে শিল্প ও পয়োবর্জ্য ফেলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। শিল্পকারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যগুলোকে উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে। দেশের সর্বত্র বেশি করে বনজ, ফলদ বৃক্ষরাজি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তুলতে হবে। পরিবেশ দূষণরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। দূষণরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশের টেকসই উন্নয়নে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সুপারিশসমূহ:
সব জাতীয় সম্পদের টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবহার বিষয়ে সমন্বিত সচেতনতার জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত জ্ঞান ও আইন সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।
গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে জনগণের সচেতনতা তৈরির কাজ আরও বেশি বাড়ানো প্রয়োজন।
পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ীদের বিরূদ্ধে ত্বরিত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে পরিবেশ আদালত স্থাপন।
প্রতিটি বিভাগে একটি করে পরিবেশ আপিল আদালত স্থাপন।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অবৈধ পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে সারাদেশে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান জোরদার করতে হবে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ১২ বছরের মধ্যে পৃথিবীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। দাবানল, খরা, বন্যা ও ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মতো মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্যানেল এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমন সতর্কবাণী দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ২০৩০ থেকে ২০৫২ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে। উষ্ণতা বৃদ্ধির বিপর্যয়পূর্ণ এ মাত্রা এড়াতে সমাজের সর্বক্ষেত্রে দ্রুত, সুদূর প্রসারী ও নজিরবিহীন পরিবর্তনের অপরিহার্যতা তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা।
লেখক: ব্যাংকার ও কলামিস্ট।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ