‘দুই কোটি ২৭ লাখ কৃষক পরিবার পাবে স্মার্ট কার্ড’

120

৪০ শতাংশ নারীসহ দেশের দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে স্মার্ট কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই কার্ডে কৃষকের জমির পরিমাণসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে। তারা টাকাও লেনদেন করতে পারবেন। কার্ডে যেহেতু সকল তথ্য থাকবে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কৃষকদের আর অসুবিধা হবে না।

প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

রবিবার কুমিল্লা বার্ডের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। কর্মশালায় কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, দুই লাখ হেক্টর জমিতে কম ফলনশীল জাত বাদ দিয়ে নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের প্রতিস্থাপন, দুই লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ডাল, তেল, সবজি ও ফল প্রতিস্থাপন; এক লাখ হেক্টর জমিকে নতুন করে দক্ষ সেচ প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। কৃষি পণ্যের মান পরীক্ষায় অ্যাক্রিডিটেশন ও প্রত্যয়নের মাধ্যমে মানসম্মত, নিরাপদ কৃষি পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা হবে। প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ বিলিয়ন কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে। প্রোগ্রামের মাধ্যমে কৃষি সেক্টরের ২০ হাজার যুব ও মহিলা উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসায় সহায়তা প্রদান এবং উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় তিন লাখ হেক্টর জমিতে ফল ও সবজির আবাদ বৃদ্ধি করা হবে।

পার্টনার প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দারুণ একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বাংলাদেশের কৃষিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষকরা অনেক অগ্রসর। তাই এই অঞ্চলে খুব সহজে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।