১। দুগ্ধ খামারকে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অপ্রয়োজনীয়, আনপ্রোডাক্টিভ গরু বা গাভীকে বিক্রি করে দিন। যে গাভীগুলো কনসেভ করতে সমস্যা, দুধ কম হয় সেগুলো খামারে রাখার প্রয়োজন নেই।
২। খামারে যত বেশী দুধ দেয়া গরু থাকবে তত বেশি লাভ হবে। বেশি দুধের জন্য গরুর জাত উন্নয়ন করে নিতে হবে। ভাল দুধের গরু কেউ তুলে দিয়ে যাবেনা বা ভাল দুধের গরু কেউ বিক্রিও করেনা। যেসব গরু বাজারে বিক্রি হয় দেখা যায় তার কোননা কোন সমস্যা থাকে যা ক্রেতা ধরতে পারেনা।
৩। দুগ্ধ খামারের লাভবান হতে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। খামারের এলাকায় যেসব খাদ্য ভাল পাওয়া যায় গাভীকে সেই খাদ্য অভ্যাস করানোই ভালো। ভেজাল খাদ্য খাওয়ানোর থেকে খাদ্যে উপাদান কম রাখাটাই ভাল।
৪। দুধের ভাল দাম কমে গেলে প্যাকেট করে খুচরা বিক্রি বা দুগ্ধজাত পন্য তৈরীর উদ্যোগ নিতে হবে। একাই না পারলে কয়েকজন খামারি মিলে করতে হবে।
৫। দুগ্ধ খামারে জাত উন্নয়নের জন্য ভাল জাতের সিমেন ব্যবহার করে। ভাল সিমেন বা বীজ মানে ১০০% তা নয়। মনে রাখবেন গাভীকে ৭৫% উপরে নেয়া যাবেনা। সর্বাধিক খেয়াল দিবেন যে বুল বা ষাড়ের বীজ দিচ্ছেন তার কোয়ালিটি কেমন।
৬। দুগ্ধ খামারে ষাড় বাচ্চা না রাখলেই ভালো হয়। আর থাকলে তা বিক্রি করে দেওয়াই ভালো। শখের বসে কিছু বড় করলে সেটা আলাদা বিষয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২জানুয়ারি২০২১