সাধারণত দুধালো গাভীর প্রতি ১০০ কেজির জন্য ২ কেজি খড় সরবরাহ করতে হয়। ১ কেজি খড় ৩ কেজি তাজা সবুজ ঘাসের সমতুল্য। গাভীকে প্রতি ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১ কেজি শুকনো আঁশযুক্ত খাদ্য (খড়) এবং ৩ কেজি তাজা সবুজ আঁশযুক্ত খাদ্য ঘাস দেয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ ৫০০ কেজি ওজনের একটি দুগ্ধবতী গাভীকে ৫ কেজি শুকনো খড় এবং ১৫ কেজি সবুজ ঘাস সরবরাহ করতে হবে। দানাদার খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা দুধ উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল।
দুধ উৎপাদনের প্রথম ৩ কেজির জন্য প্রয়োজন ৩ কেজি মিশ্র দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ কেজির জন্য প্রয়োজন ১ কেজি মিশ্র দানাদার খাদ্য। অবশ্য যদি দুধে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ শতকরা ৪ ভাগ বা তার নিচে থাকে। দুধে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ শতকরা ৪ ভাগের বেশি হলে প্রতি ৩ কেজি দুধের পরিবর্তে প্রতি আড়াই কেজি দুধের জন্য ১ কেজি মিশ্র দানাদার খাদ্যের প্রয়োজন হয়। এ হিসাবে দেশি ও সংকর জাতের গাভীকে সর্বোচ্চ ৬ কেজি এবং বিশুদ্ধ বিদেশি গাভীকে সর্বোচ্চ ৯ কেজি মিশ্র দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হয়।
লবণের চাহিদা পূরণের জন্য গাভীকে মাথাপিছু প্রতিদিন ৬০ গ্রাম খাওয়ার লবণ এবং ৬০ গ্রাম জীবাণুমুক্ত হাড়ের গুঁড়া খাওয়াতে হবে। খাবারে সরবরাহকৃত সবুজ ঘাস গাভীর ‘এ’ ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে পারে। ‘বি’ ভিটামিন গবাদিপশু স্বয়ং প্রক্রিয়ার প্রস্তুত করতে পারে। গাভীকে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। গবাদিপশুকে যেসব কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয় তার মধ্যে নেপিয়ার ও পারা ঘাস অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও উপকারী ঘাসের উৎপাদন পদ্ধতি।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬জানুয়ারি২০২১