দুধের দাম বৃদ্ধিতে হাসি ফুটেছে খামারিদের মুখে

888

দুধের দাম বৃদ্ধিতে হাসি ফুটেছে খামারিদের মুখে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘদিন থেকে খামারিরা তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়লেও রমজানের কারণে দুধের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর ফলে দুগ্ধ খামারিদের মধ্যে কিছুটা আশা জাগিয়েছে। বর্তমানে অঞ্চলভেদে দুধের লিটার ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন খামারিরা।

অল্প কিছুদিইন আগেও খামারিরা দুধের দাম না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। দেশে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা লকডাউন থাকায় দুধের দাম কমতে কমতে নেমে এসেছিল ১০-১৫ টাকায় যা পানির দামের চেয়েও অনেক কম। অনেক খামারিরা উৎপাদিত দুধ ফেলে দিতেও বাধ্য হয়েছিলেন। এখন দাম বাড়ায় তারা বেশ খুশি হয়েছেন।

খামারিরা জানান, দেশে করোনার কারণে তারা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তা কাটিয়ে উঠতে অনেক দিন সময় লেগে যাবে। এর আগে একদিকে গরুর খাদ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে দুধের দাম কম-সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন খামারিরা। বর্তমানে দুধের দাম বাড়ার কারণে খামারিরা কিছুটা আশাবাদী হয়েছেন।

বিভিন্ন স্থানের খামারিরা বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে অনেক গ্রাহক এখন দুধ কিনছেন। আশপাশের বাজারেও কিছু কিছু দোকান খুলছে। অনেকে সীমিত আকারে হলেও মিষ্টি এবং দধির দোকান খুলেছেন। সে কারণে দুধের চাহিদাও বেড়ে গেছে। এজন্য দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

বগুড়ার উল্লাপাড়া গ্রামের খামারি হাবিবুর বলেন, আমাদের এখানে রোজার আগেও ২৫ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করেছি। এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর খাবারের দামও অনেক বেড়ে গেছে। আবার যদি দুধের দাম কমে যায় তখন খামারিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

আরেক খামারি মামুন জানান, করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর প্রায় একমাস অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে দুধ এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দেশে যেভাবে গরুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তা বেশি দামে দুধ বিক্রি করতে না পারলে খামারিদের লোকসানে পড়তে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭মে২০