দুপুরমণির নাম শুনেছেন? ছোটবেলার দেখা বাগানগুলোতে আরও অনেকগুলো ফুলের পাশাপাশি শোভা পেত দুপুরমণি ফুল। তখন একটাই রঙের দুপুরমণি ফুল পাওয়া যেত। টকটকে লাল। রং এবং ফুল দুটোই আকর্ষণ করত তখনকার শিশু-কিশোরদের। দুপুরমণি গাছের আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়া। পরে এটি সমগ্র দুনিয়াজুড়ে বিস্তার লাভ করে।
দুপুরমণি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এদের নামগুলো হলো- বন্ধুক, কটলতা, বন্ধুলী, দুপুরচন্ডি, দুপুরমালতি ইত্যাদি। এটি বর্ষার ফুল। একহারা লম্বা গাছ। ডালপালা কম। পাতা বেশ লম্বা, কিনার কাটাকাটা। পাঁচটি পাপড়ি। কখনো সিঁদুরে লাল আবার কখনো বা হালকা গোলাপি বা সাদা। কোনো গন্ধ নেই। ফুলগুলো দুপুর ঠিক ১২টায় ফোটে এবং দ্রম্নত ঝরে যায়। আগস্ট থেকে নভেম্বরে এতে ফুল ফোটে।
এটি বাগানের শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়; তবে অনেক দেশে এটি আঁশের জন্য বা ভেষজ চিকিৎসার জন্যও চাষ করা হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ