অন্যান্য ফলের মধ্যে সুস্বাদু একটি হলো আমড়া। বাংলাদেশে পুষ্টিকর এই ফলটির দু’টি প্রজাতির চাষ হয়। দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার মতো টক নয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এতে শাঁস বেশি, আকারেও বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। বিলাতি ও দেশি দই’ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায়। তরকারি হিসেবে রান্না করেও আমড়া খাওয়া যায়। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়া।
পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রামে):
জলীয় অংশ (মস)- ৮৩.২
মোট খনিজ পদার্থ (মস) ০.৬
হজমযোগ্য আঁশ (মস) ১.০
খাদ্যশক্তি (শপ) ৬৬
আমিষ (মস) ১.১
চর্বি (মস) ০.১
শর্করা (মস) ১৫
ক্যালসিয়াম (সম) ৫৫
লৌহ (সম) ৩.৯
ক্যারোটিন (সম) ৮০০
ভিটামিন বি১ (সম) ০.২৮
ভিটামিন বি২ (সম) ০.০৪
ভিটামিন সি (সম) ৯২
ইংরেজি নাম : Hog plum
বৈজ্ঞানিক নাম : Spondias pinnata, S. mangifera
জাত : আমাদের দেশে দুই প্রজাতির আমড়া পাওয়া যায়, এগুলো হলো বিলাতি আমড়া ও দেশি আমড়া। দেশি আমড়ার কোনো অনুমোদিত জাত নেই।
পুষ্টিগুণ : আমড়া একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এতে ভিটামিন সি ছাড়া ক্যারোটিন, শর্করা ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে।
ঔষধিগুণ : আমড়া পিত্ত ও কফ নিবারণ করে। আমনাশক ও কন্ঠস্বর পরিষ্কার করে। অরুচিতে ও পিত্তবমনে ব্যবহার করা হয়।
উৎপাদন এলাকা : সর্বত্র। তবে বৃহত্তর বরিশাল ও সাতক্ষীরা এলাকায় এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
ব্যবহার : বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। বিলাতি ও দেশি দুই ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি, জেলি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ