দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে কি কি খাদ্য দিতে হবে তা খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। বর্তমানে লাভজনক হওয়ার কারণে অনেকেই মুরগি পালন করছেন। মুরগি পালনের মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে দেশি মুরগি সঠিক নিয়ম মেনে পালন করতে পারলে লাভ বেশি পাওয়া যায়। আসুন আজকে জেনে নিব দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে কি কি খাদ্য দিতে হবে সেই সম্পর্কে-
দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে কি কি খাদ্য দিতে হবেঃ
দেশি মুরগর মাংস খাবার হিসাবে অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শুধু মাংসের জন্য নয় দশি মুরগির ডিমের চাহিদাও রয়েছে অনেক। কিন্তু উৎপাদন কম থাকার কারণে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কথা এখন মানা একটু কঠিন কেনন, চাহিদার সাথে সাথে উৎপাদনও বৃদ্ধি হচ্ছে। আপনি চাইলে পরিক্ষা করেও দেখতে পারেন। বাংলাদেশের শহরের বড় বাজারের মুরগির দোকানিকে জিজ্ঞেস করবেন দেশি মুরগি আছে কি? উত্তরে আপনি পাবেন আছে (তবে ৫% উত্তর না হতেও পারে)।
দেশি মুরগি পালনে তেমন কোনো পরিচর্যা না করলেও চলে। যদি ছেড়ে দিয়ে পালন করা হয়। সেক্ষেত্রে, খাবার খরচ কম হয় রোগ বালাইও কম হয়। তাই লাভের অংশ টা একটু বেশি। অন্য দিকে যদি দেশি মুরগি খামারে বা আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা হয় সেক্ষেত্রে খাবার খরচ, ঔষধ খরচ, দেখাশোনার জন্য একজন মানুষ সব মিলিয়ে একটা মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তাই কিভাবে খরচ কমানো যায় তা ভাবতে হবে। সেক্ষেত্রে একটা উপায় হচ্ছে কম সময়ে কিভাবে বেশি ওজন বাড়ানো যায়।
কম সময়ে বেশি ওজন বাড়ানোর উপায় একটায় আর তা হল খাবারে পরিবর্তন আনা। যেহেতু দেশি মুরগিকে সাধারণত ভাত, চাল, গমের ভুষি, ধান খাওয়ানো হয় এতে মুরগি সুস্থ খাকবে ঠিকই কিন্তু ওজন বাড়বে কম। যেহেতু কম সময়ে ওজন বাড়ানো দরকার তাই এই খাবারের পরিবর্তে বাজারে যে সোনালী মুরগির খাবার পাওয়া যায় তা দিতে হবে। এ খাবার মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই ভাত, ভুষ, চাউল, ধান এই খাবারের পাশাপাশি অথবা শুধু বাজারের সোনালী মুরগির ফিড বা খাবার দেশি মুরগির এক দিনের বাচ্চা থেকে তিন মাস পর্যন্ত দিতে হবে।
দেশি মুরগির বাচ্চার বয়স ১-১৪ দিন বা দুই সপ্তাহ স্টাটার ক্যাটাগরির খাদ্য এবং তৃতীয় সপ্তাহ থেকে গ্রোয়ার ক্যাটাগরির দিতে হবে বিক্রি করা পর্যন্ত। যদি এ নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য প্রদান করা হয় তাহলে, পাঁচ মাসে মুরগির গড় ওজন ৮০০-১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হবে আশা করা যায়।