দেশি মুরগির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খামারির সংখ্যা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে দেশি মুরগি শুধু বাড়িতে পালন করা হত পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কিন্ত চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় সাথে সাথে দেশি মুরগি বানিজ্যিকভাবে খামারে পালন করা হচ্ছে।
দেশি মুরগির খাদ্যাভাস অন্য জাতের মুরগির থেকে আলাদা। তাই এদেরকে যে কোন ধরনের খাবার-ই দেওয়া যায়। যেমন, ভাত, ছোট মাছ, গমের ভুষি, চাউলসহ মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ট। তবে যারা খামারে বা আবদ্ধভাবে দেশি মুরগি পালন করেন তারা এই সবুজ খাদ্য মুরগিকে দিতে পারেন। এই সবুজ খাদ্য খামারে দেশি মুরগির খাবারের খরচ কমায় আবার মুরগির পুষ্টি চাহিদা ও পূরণ করে। তবে এই সবুজ খাদ্য প্রদানের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যা অনুসরণ না করলে ফলাফল খুব খারাপ হতে পারে।
সবুজ খাদ্যগুলি হলঃ পুইশাক, কলমি শাক, হেঞ্চা শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক। এই জাতীয় শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। যা দেশি মুরগির দেহের ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে সহসয়তা করে। কেননা মানুষ ব্যাতিত অন্য সকল প্রাণী জানে যে তার শরীরে কিসের অভাব রয়েছে। আর ছেড়ে দিয়ে দেশি মুরগি পালন করলে এগুলো মাঠ-ঘাট থেকে খেয়ে থাকে। যার ফলে দেশি মুরগির রোগ বালাই কম হয়।
খাদ্য সরবরাহের সময়ঃ শাকগুলো মুষ্টি আকারে বেঁধে ঝুলে দিতে হবে খামারে। যাতে মুরগি ছিড়ে খেতে পারে। অথবা কুচি কুচি করে কেটে ভাত এবং গমের ভূষীর সাথে একটু পানি দিয়ে মেখে দিতে হবে। পানি না দিলে শাক ভাত, ভূষীর সাথে মিশবে না আর মুরগি খেতেও চাইবেনা। পানির পরিমাণ এত বেশি যেন না হয় যে ভাত, ভূষী আর শাক আলাদা না হয়। বরং পানির পরিমাণ এতটা হওয়া উচিত যেন মাখ মাখ হয়। শাক ভাত এবং ভূষী একে অপরের সাথে লেগে থাকে।