নোয়াখালী সংবাদদাতা: বিপন্ন দেশি ছোট প্রজাতির ২টি মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফলতা পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের আরেক সহকারী অধ্যাপক ড. শ্যামল কুমার পাল।
তিনি ও তার বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের আগস্টে বিপন্ন প্রজাতির গুতুম ও টেংরা মাছের কৃত্রিম প্রজননে গবেষণা শুরু করেন। ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট-২ (এনএটিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে এই গবেষণা চলে।
সহকারী অধ্যাপক ড. শ্যামল কুমার পাল জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামারে কৃত্রিম প্রজননের এ কাজ শুরু করে গবেষক দল। বৃহত্তর নোয়াখালী, ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে মা মাছ সংগ্রহ করেন তারা। দীর্ঘ সময় পরিচর্যা করে মাছগুলো কৃত্রিম প্রজননের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়। শেষে গত ২৮ এপ্রিল মাছে বিভিন্ন উদ্দীপক হরমোন প্রয়োগ করা হয়। এতে গুতুম ও টেংরা মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা আসে।
গবেষক দল মাছের প্রজনন ও রেণু পোনার লালন-পালন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছেন। ওই গবেষণা প্রকল্পে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ভক্ত সুপ্রতিম সরকার ও বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামারের টেকনিশিয়ান উত্তম বসু।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান জানান, নানা কারণে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু ছোট মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। প্রয়োজন কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে রেণু পোনা উৎপাদন ও চাষপদ্ধতি বাড়ানো। গবেষক দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ। এ অর্জন ধরে রাখতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন