প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার অঙ্গিকার বাস্থবায়ন করতে হলে দেশে পুষ্টি উপাদান অন্তত দ্বিগুন করতে হবে, একই সাথে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ। দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণকারী খাদ্য গম, আলু, ডাল, সবজি, মাংস, ডিম ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদন চাহিদা অনুযায়ী বাড়ছে না। ২০৩০ সালে গোল আলুর উৎপাদন হবে ১ কোটি ১৮ লাখ টন , ৪ লক্ষ টন ডাল, ৬৪ লক্ষ টন সবজি আর ফলের উৎপাদন হবে ৩৬ লক্ষ টন। ঐ সমায়ের মোট চাহিদার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম থাকবে।ফলে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্খা থেকে যাবেই।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাক ও যুক্তরাজ্য সরকারের বৈদেশিক বিষয়ক উন্নয়ন সংস্থা ডিএফএআইডি যৌথ ভাবে বাংলাদেশের কৃষি খাতের গতি প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে একটি গবেষনা করেছে। ২০৩০-২০৫০ সালের কৃষি কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা বোঝার জন্য গবেষনাটি করা হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি গড়ে ৫ শতাংশ ছিল। ২০১০-২০১৫ এর মধ্যে তা কমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ নেমে এসেছে। গবেষনাটিতে দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে দেশে দারিদ্র কমেছে ৩৫ শতাংশ।
গবেষনাটি সম্পর্কে ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বায়েস আহমেদ বলেন, সবজি, ফল, মাছ এবং মাংসের উৎপাদন বাড়লেও তা চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। কারণ এই খাতে সরকারের সহায়তা কম । অথচ কৃষি খাতের নতুন উদ্দ্যোক্তারা মৎস, প্রানি সম্পদ এবং সবজি ও ফলেই বেশি আসছে। কয়েক বছর পর পর আমরা দেখি কৃষক অলু ও সবজির দাম না পেয়ে অনেক সময় তাদের ফসল মাঠে ফেলে আসতে হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাত্তার মন্ডল বলেন, বাংলাদেশের জমি কম। ফলে সবধরনের খাদ্য শস্য উৎপাদনে সমান উন্নতি হবে না। কিছু খাদ্য আমাদের অমদানি করতে হবে। আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য ডাল ও পোল্ট্রি শিল্পের উপর জোর দেওয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন। সূত্র: আংশিক প্র.আ