দেশের মহামারি ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন

346

65000000000000000esizefi644

দেশের মহামারি ও সংক্রামক রোগব্যাধি প্রতিরোধ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব এবং সীতাকুণ্ডে অজানা রোগে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতংক তৈরি হয়েছে। এর আগে ডেঙ্গু, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, অ্যানথ্রাক্স ইত্যাদি প্রাণিবাহিত রোগ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। তাই বাংলাদেশের মানুষ ও প্রাণিদের রোগ ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিরোধে ওয়ান হেলথ শিক্ষা ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) “Promoting One Health education at tertiary level through university networking inside Bangladesh” শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মত ব্যক্ত করেন।

সকাল ১০টায় দ্য পেনিনসুলা হোটেলের জিনিয়া হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নয়াদিল্লিস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল আট্যাশে ড. মার্ক আর ওয়ালেস, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও এফএও-এর বাংলাদেশস্থ ওয়ান হেলথ কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষেণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিচালক (ফার্ম) প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলী বিশ্বাস।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস, প্রফেসর ডা. এম.এ. হাসান চৌধুরী, আইইডিসিআর এর বিশেষজ্ঞ ড. সেলিমউজ্জামান। কর্মশালায় দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের প্রায় ৬০ জন শিক্ষক ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন।

ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেরস ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পারস্পারিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করে ওয়ান হেলথ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের অধীনে ওয়ান হেলথ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদানের সক্ষমতা এবং গুণগত সুবিধা সবার সামনে উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পদ এবং সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে মানুষ ও প্রাণির সেবায় ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে ওয়ান হেল্থ বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের লক্ষ্যে কোর্স কারিকুলাম তৈরির কাজ চলছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লেভেলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হবে। ওয়ান হেল্থ বিষয়ক পেশাজীবী তৈরি হলে দেশের মানুষের ও প্রাণিদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। এ প্রক্রিয়ায় আমাদের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অনেকে আমাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম