দেশে উৎপাদিত মাংসের ৪৫ ভাগ আসে পোলট্রি থেকে

195

পোলট্রি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে উত্পাদিত মাংসের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে পোলট্রি থেকে। বর্তমানে দেশি মুরগি কিংবা ডিম তেমন একটা পাওয়া যায় না; তাই পোলট্রি মুরগির ওপরই নির্ভর করতে হয়। গরু-খাসির মাংসের দাম যেখানে হুহু করে বাড়ছে; সেখানে বাজারে কমেছে মুরগির মাংসের দাম। এটিই এখন গরিবের আমিষ। তাই আপামর মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে সাশ্রয়ী মূল্যের এ প্রোটিনকে আরো নিরাপদ করতে হবে; প্রান্তিক খামারি ও পোলট্রি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত নিরাপদ ও টেকসই পোলট্রি উত্পাদন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার ও পলিসি ডিসকাশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক সবাই পোলট্রির ডিম ও মাংস খায়। সে কারণেই ডিম ও ব্রয়লার মাংসকে অধিকতর মানসম্পন্ন ও নিরাপদ করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, নিরাপদ পোলট্রি পালনকে উত্সাহিত করতে হলে খামারের বর্জ্য ব্যবস্হাপনা উন্নত করতে হবে এবং ছোট-বড় সব ধরনের বাণিজ্যিক ও ব্রিডার খামার এবং ফিডমিলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে ওয়াপসা-বিবির নির্বাহী সদস্য শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, নিরাপদ পোলট্রির উত্পাদন নিশ্চিত করতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। দরকার স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

সেমিনারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পোলট্রি বিশেষজ্ঞ মি. গর্ডন বাটল্যান্ড বলেন, কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। দক্ষিণ আমেরিকাতে শষ্যের উত্পাদন কমে যাওয়ার প্রভাবও পড়েছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় সব দেশের সরকার ভতু‌র্কি দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ায় এখন কর বাড়াতে হচ্ছে। এতে খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্হান খুবই সুস্পষ্ট। নিরাপদ পোলট্রি পালন একটি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। পোলট্রি চেইনকে নিরাপদ রাখতে দেশীয় পোলট্রি বিজ্ঞানী ও গবেষকরা যথেষ্ট অবদান রাখছেন।

ড. সান্িতয়াগো রামিরেজ বলেন, নিরাপদ পোলট্রি উত্পাদন করতে হলে কাঁচামাল বাছাই করা থেকে শুরু করে, ফিড ফর্মুলেশন, মুরগির স্বাস্হ্য সুরক্ষা, ওয়েলফেয়ারসহ নানাবিধ বিষয়ে নজর দিতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১জুন ২০২২