দেশে বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ শুরু, বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ৪ লাখ টাকা লাভের আশা

1910

জয়পুরহাটে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কমলার চাষ। ক্ষেতলাল উপজেলার সমান্তাহার গ্রামের উদ্যোক্তা রওশন জামিল নিজ উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি চারা রোপণের পর ভালো ফলাফল পাওয়ায় তিনি এবার ৮ বিঘা জমিতে কমলার চাষ করেছেন।

ইতিমধ্যেই থোকায় থোকায় ফলও ধরেছে অনেক গাছে। বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ৪ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

২০১৮ সালে ঢাকা কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে তিনি কয়েকটি চারা সংগ্রহ করে নিজ মেধা ও উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন বিদেশি ফল কমলার চাষ। এরপর সেই কমলার গুণগতমান ভালো, সুস্বাদু হওয়ায় ও এখানকার মাটি কমলা চাষের উপযোগী হওয়ায় তিনি এ বছর ৮ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করেন।

রওশন জামিল জানান, এখন তার বাগানের গাছ ভর্তি কমলাগুলো শুধু পাকার অপেক্ষায়। কমলা চাষে খরচ খুব বেশি হয় না। এটা চাষ থেকে শুরু করে ফল আসা পর্যন্ত বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পুরোপুরি ফলন আসলে প্রতিটি গাছে ১ মণ থেকে দেড় মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। পর্যায়ক্রমে এর ফলন আরও বাড়বে। এই হিসেবে তিনি প্রতি বিঘায় কমলা বিক্রির আশা করছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা।

এদিকে এই কমলার বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার অনেক বেকার যুবকের। তারা বলেন, আগে বেকার ছিলাম, কোন কাজ-কর্ম ছিল না। এখন এই কমলার বাগানে কাজ করে আমাদের উপার্জনের পথ হয়েছে। এ দিয়ে আমাদের পরিবার ভালোভাবে চলে।

স্থানীয় মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, সম্ভাবনাময় এই কমলা চাষে আরো অনেকে এগিয়ে আসলে এলাকায় বেকারত্ব দূর হবে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই কমলা চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই কমলার চাষ আরও বৃদ্ধি হলে কৃষকদের লাভবানের পাশাপাশি এলাকার হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৫আগস্ট২০