ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার ডেস্ক : ব্রিটিশ হার্ট ফাউণ্ডেশন নামে একটি সংস্থা কোলেস্টেরল বিষয়ে নতুন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। গবেষণা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা বলেছিল- সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ডিমে থাকা উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ও প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে মত দিয়েছিল তারা। তবে সেই পরামর্শ তুলি নিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের ড. ফ্র্যাঙ্কি ফিলিপস্ বলছেন, দিনে একটা- এমনকি দুটো ডিমও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেও মত দিয়েছেন তিনি।
ড. ফিলিপস্ বলছেন, এখানে সতর্কবাণী শুধু একটাই – একধরনের খাবার বেশি খেতে গিয়ে অন্য খাবারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বাদ দেয়া ভুল হবে।
তিনি আরও বলছেন, ডিম যদিও ‘প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ একটা উৎস’। কিন্তু একটা ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমাদের অন্যান্য খাবার থেকেও আমরা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাই – যা অনেক সময়ই শরীরের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কাজেই অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউণ্ডেশন বলছে- এখন বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল ডিম।
যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।
গবেষকরা বলছেন, কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা যদি ভাবেন, ডিম সেখানে কোন ক্ষতির কারণ নয়। যে ক্ষতিকর চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে ডিম রান্না করছেন সেটা সমস্যা কারণ হতে পারে। কাজেই কীভাবে ডিম রাঁধবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন