লক্ষণঃ
কুশি গজানোর সময় প্রথমে ছোট গোলকার বা লম্বাটে ধরনের ধূসর রঙের জলছাপের মত দাগ পড়ে এবং তা আস্তে আস্তে বড় হয়ে উপরের দিকে সমস্ত খোল ও পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
দাগ গুলোর কেন্দ্রস্থল খয়েরী রং এবং পরিধি গাঢ় বাদামী রঙের হয়। এ অবস্থায় খোল দেখতে কিছুটা গোখড়া সাপের চামড়ার দাগের মত দেখায়।
ইউরিয়া সার বেশি দিলে, আবহাওয়া গরম ও সেঁত-সেঁতে হলে এবং রোগ জীবাণু জমিতে থাকলে রোগ ছাড়ায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার যথাঃ বি আর- ১০,২২,২৩, এবং ব্রি-ধান ২৯,৩২,৩৯,৪১।
ফসল কাঠার পর ক্ষেতের নাড়া পুড়ে ফেলা।
সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করা এবং ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করা।
রোগ দেখা দিলে জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন রাখার পর আবার সেচ দেয়া।
চারা একটু দুরে লগানো। (২০/২০ সেমি)।
পটাশ সার ব্যবহার করা (প্রয়োজনে উপরি প্রয়োগ)।
প্রয়োজনে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা। প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি ফলিফুর, ১ মিলি প্রোপিােকনাজল (টিল্ট ২৫০ ইসি) বা কনটাফ ৫ ইসি বা স্কোর, ১ গ্রাম কার্বেনডাজিম, নাটিভো ০.৪ গ্রাম ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯আগস্ট২০