ধানের দাম নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় চিন্তিত: কৃষিমন্ত্রী

325

m50z5bzz
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা কি শুধু ধানের দাম পায় না? কৃষকরা যখন সবজি চাষ করেন, সবজির দামও পান না। এই কারওয়ান বাজারে সবজির দাম নিয়ে বহুবার পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে। সুদূর ঈশ্বরদী থেকে কপি নিয়ে এসেছে। ১০টা ফুলকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। কৃষকরা ট্রাক রেখে পালিয়ে গেছেন।

ধানের দাম কমে যাওয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায় গভীর চিন্তিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কৃষক লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা কি শুধু ধানের দাম পায় না? কৃষকরা যখন সবজি চাষ করেন, সবজির দামও পান না। এই কারওয়ান  বাজারে সবজির দাম নিয়ে বহুবার পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে। সুদূর ঈশ্বরদী থেকে কপি নিয়ে এসেছে। ১০টা ফুলকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। কৃষকরা ট্রাক রেখে পালিয়ে গেছেন। টমেটো একই রকম। টমেটো বিক্রি হয় না, দুই টাকা কেজি টমেটো। এদেশের কৃষকেরা নানান অভাবে দুঃখী ছিলেন। শেখ হাসিনা কৃষক শ্রমিকের জীবন পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম লড়াই করছেন।

কৃষক ধানের দাম না পাওয়ার পেছনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করে ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আজকে এই যে ধানের দাম পাচ্ছে না কৃষক; ধানের উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বোরোতে অনেক ধান হয়েছে। আমনে আমাদের টার্গেট ছিল এক কোটি চল্লিশ লাখ টন, সেটা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ টন। ১৩ লাখ টন ধানের উৎপাদন আমাদের টার্গেটের বেশি উৎপাদন হয়েছে। আলুর উৎপাদন আমাদের দরকার ৬০-৭০ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন লাখ টন। ৩৩ লাখ টন আলু বেশি হয়েছে, চাষিরা বিক্রি করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, ‘এটা কোনো জাদুর বলে হয় নাই, কোনো আলাদিনের আশ্চর্য  প্রদীপের আলোতে হয় নাই, এটা হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব কর্মসূচির জন্য, তার দূরদর্শিতার জন্য।’

ধানের দাম নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় চিন্তিত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যায় না। সেই শ্রমিক পাওয়া যায় না বলেই আজকে ধান করে মানুষের লাভ হচ্ছে না। এ জন্য সরকার খুবই চিন্তিত। সরকারের উচ্চপর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা চিন্তা করছি।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু আপনাদের বলতে চাই, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে যেখানে খাদ্য উদ্বৃত্ত করতে পারে। সেখানে আমরা রপ্তানি করলে কৃষক দাম পাবে। এই কৃষকের সমস্যা সাময়িক। এই সমস্যারও সমাধান আমরা করব। কিভাবে করব? কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক কৃষি করব। এই কৃষিকে আমরা বহুমুখী করব। শুধু ধান না, অন্যান্য অর্থকরী ফসলের দিকে নিয়ে যাব। এই কৃষিকে আমরা যান্ত্রিকীকরণ করব। আজ শ্রমিক পাওয়া যায় না, শ্রমিক আর দরকার হবে না। এই যান্ত্রিকীকরণের জন্য আমরা ভর্তুকি দিব।

কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন