ধানের নতুন ২ জাত উদ্ভাবন, ফলন হবে হেক্টরে ৭ টন

1568

বোরো ধান

দীর্ঘসময় গবেষণা করে বিআর ৮৮ এবং বিআর ৮৯ নামের ধানের দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের একদল বিজ্ঞানী।

ধানটা হবে চিকন, সুস্বাদু, ২৮শের মত জীবনকাল কিন্তু ফলন বেশি। আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই কিছু কিছু কৃষকের কাছে ধানটা পৌছানো সম্ভব হবে।

বর্তমানে দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় উচ্চ-ফলনশীল ধান ব্রি ধান ২৮।

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ-ফলনশীল ধান এটি।

তিনি জানান, এই দুটি ধানের জীবনকাল হবে বপন করা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত ১৪৩ দিন। এর ফলন প্রতি হেক্টরে সাত টন হবে। ধানটি প্রথমে গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসোর্স কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটিতে এই ধানের সফলতার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে।

তিনি জানান, এখন এটা ন্যাশনাল সিড বোর্ডে চূড়ান্ত পর্যায়ে অনুমোদন হবে। এই দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করতে ১৮ বছর সময় লেগেছে বলে তিনি জানিয়েছে।

ড. আলমগীর বলেন, “এখন দুটি জাত ব্রিধান ২৮ এবং ২৯ এর সাথে নতুন জাত বিআর ৮৮ এবং বিআর ৮৯ এর মূল পার্থক্য হলো- ২৮ এর মত গ্রোথ হবে কিন্তু ফলন বেশি হবে। জাতীয়ভাবে ১০টা স্থানে তারা পরীক্ষামূলক ফলন করেছেন। সেখানে প্রতি হেক্টরে ৬০০ কেজি ধানের ফলন বেশি হয়েছে।”

কৃষকরা চাষ করা শুরু করলে পরবর্তীতে এই ফলন আরো বাড়বে বলে গবেষকদের ধরণা।

গবেষকরা বলছেন, ১৯৯৪ সালে ব্রি ধান ২৮ এবং ২৯ উদ্ভাবন করে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। দীর্ঘদিন ধরে এই দুইটি জাতের ফসল উৎপাদন করে কৃষক ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন