ধানের বাম্পার ফলনের পরও চালের দাম বেশি

543

করোনার এই দুঃসময়ে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে ধান ও চালের। কিন্তু তারপরও উত্তরাঞ্চলের মিল এবং মোকাম মালিকদের কারসাজিতে স্থিরতা ফিরছে না চালের বাজারে। এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ভরা এই মৌসুমে চালের দাম চট্টগ্রামে কেজিতে কমেছে মাত্র এক টাকা। অথচ ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে গত মাসেই চালের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত।

নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার কারণে শ্রমিক সংকটের কথা বলা হলেও তেমন কোনো ক্ষতি ছাড়াই ফসল পৌঁছেছে গুদামে।

কৃষকের মাঠের ধান এখন চাল হয়ে বাজারে। কিন্তু চালের দাম নিয়ে দিনাজপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, আশুগঞ্জের মিল ও মোকামের মালিকরা কারসাজি করছে বলে অভিযোগ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।

পাইকারি পর্যায়ে সাধারণ মানের বেতী আতপ এবং পাইজাম আতপ ৫০ কেজির বস্তা ২১শ টাকা, মিনিকেট আতপ ২২শ টাকা, চিনিগুড়া ৪৭শ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ এবং পারিজা সিদ্ধ ২২শ টাকা, নাজিরশা সিদ্ধ ২৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সংকট না থাকা সত্ত্বেও গত মাসে এসব চাল প্রতি বস্তায় ৩শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।একজন দোকানদার বলেন, আড়তদাররা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ অবস্থায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নগরীর চাক্তাই এবং তার আশপাশের এলাকার গুদামগুলোতে তদারকি শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযুক্ত উত্তরাঞ্চলের মিল এবং মোকাম মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করার কথা জানালেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, আশা করি সেখানে জেলা প্রশাসন আছে। তারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ব্যবস্থা নেবেন।

মূলত এখানকার চালের ব্যবসা উত্তরাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। বন্দরনগরীতে চালের গুদাম রয়েছে অন্তত তিনশো। এর মধ্যে কমিশন এজেন্ট একশ’র বেশি।

সূত্র: সময় টিভি

ফার্মসএন্ডফার্মার/২২জুন২০