ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

1859

lg_12152388807457985775

ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার
(১) পাতা ব্লাস্ট
(২) গীট ব্লাস্ট
(৩) শীষ ব্লাস্ট

(১) পাতা ব্লাস্ট পাতায় ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির সাদা বা বাদামি দাগ দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে সমস্ত পাতা ও ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রমণ বেশি হলে ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে রোদে পুড়ে যাওয়ার মতো দেখা যায়। আক্রান্ত ক্ষেতে অনেক সময় পাতা ও খোলের সংযোগস্থলে কালো দাগ দেখা দেয় যা পরবর্তীতে পচে পাতা ভেঙে পড়ে ফলন বিনষ্ট হয়।

(২) গীট ব্লাস্ট
ধানের থোড় বা গর্ভবতী অবস্থায় এ রোগ হলে গীটে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
ধান গাছ গিট থেকে খসে পরে।

(৩) নেক ব্লাস্ট
শীষ অবস্থায় এ রোগ হলে শীষের গোড়া কালো হয়ে যায়। আক্রমণ বেশি হলে শীষের গোড়া ভেঙ্গে যায়।
ধান চীটা হয়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা

প্রথমত এ রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করা।
আক্রান্ত ক্ষেতের খড়কুটো আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া।
সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের মাধ্যমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
রোগের আক্রমণ হলে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।
বিঘা প্রতি ৫-৭ কেজি এমওপি
সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে অথবা ৫ গ্রাম/ লিটার স্প্রে করা যেতে পারে।
ক্ষেতে পানি সংরক্ষণ করতে হবে।

রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা

ট্রাইসাইক্লাজোল (ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি) @ ০.৭৫ গ্রাম/ লিটার অথবা ট্রাইসাইক্লাজোল+ প্রোপিকোনাজল (ফিলিয়া ৫২৫ এসই) @ ২মিঃলিঃ/ লিটার অথবা থায়োপেনেট মিথাইল (টপসিন এম ৭০ ডব্লিউপি) @ ২ গ্রাম/ লিটার/অথবা টেবুকোনাজল+ ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন (নাটিভো) @ ০. ৫০ গ্রাম/ লিটার, অথবা এজোক্সিস্ট্রবিন+ ডাইফেনোকোনাজল (এজকর/এমিস্টার টপ) @ ১মিঃলিঃ/লিটার পানিতে মিশে ১০-১৫ দিন পর পর দুইবার স্প্রে করা যেতে পাের।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮ফেব্রু২০২০