ধানের অন্যতম শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং। এটি কারেন্ট পোকা নামেও পরিচিত । এগুলোর গায়ের রঙ বাদামি বা গাঢ় বাদামী। পূর্নবয়স্ক পোকা লম্বা ও খাটো দু’ধরনের হয়ে থাকে। এগুলোর দেহ খুবই নরম এবং স্ত্রী পোকার পেট পুরুষ অপেক্ষা বেশ বড়।
এরা পাতার খোলে এবং পাতার মধ্য শিরায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা (নিম্ফ) বের হতে ৭-৯ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলো ৫ বার খোলস বদলায় এবং পূর্ণবয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে ১৩-১৫ দিন সময় নেয়। প্রথম পর্যায়ের (ইনস্টার) বাচ্চাগুলোর রং সাদা এবং পরের পর্যায়ের বাচ্চাগুলো বাদামী। বাচ্চা থেকে পূর্ণবয়স্ক বাদামী গাছফড়িং ছোট পাখা এবং লম্বা পাখা বিশিষ্ট হতে পারে। ধানে শীষ আসার সময় ছোট পাখা বিশিষ্ট ফড়িং এর সংখ্যাই বেশি থাকে এবং স্ত্রী পোকাগুলো সাধারণত গাছের গোড়ার দিকে বেশি থাকে। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লম্বা পাখা বিশিষ্ট ফড়িং এর সংখ্যাও বাড়তে থাকে, যারা এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় উড়ে যেতে পারে।
বাদামী গাছফড়িং খুব তাড়াতাড়ি বংশ বৃদ্ধি করে। সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে আক্রান্ত জমিতে হপারবার্ণ এর সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত গাছগুলো প্রথমে হলদে হয় এবং পরে শুকিয়ে মারা যায়। লম্বা পাখাবিশিষ্ট পূর্ণবয়স্ক বাদামী ফড়িংগুলো প্রথমে ধান ক্ষেতে আক্রমণ করে। কখনও কখনও বাচ্চা ও পূর্ণবয়স্ক উভয় অবস্থায় এ পোকা ধান গাছের গোড়ায় বসে রস শুষে খায়। বাদামী গাছফড়িং গ্রাসি স্টান্ট, র্যাগেট স্টান্ট ও উইল্টেড স্টান্ট নামক ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১মার্চ২০