নওগাঁর আত্রাইয়ে সজিনার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

607

সাজিনা
আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে বহু গুণে গুণান্বিত সজিনার গাছগুলো এখন তরতাজা সজিনায় ছেঁয়ে গেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো সজিনার গাছে সজিনা বিক্রয়ের উপযোগী হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে, বাসা-বাড়ির আশেপাশে, পুকুর পাড়ে, স্কুল-কলেজের মাঠে, রাস্তার দুই পাশে এবং অকৃষি জমিতে পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আঁশ জাতীয় সবজি সজিনা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সজিনার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা।

আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা অকৃষি বা পতিত জমিতে মৌসুমি ও বারোমাসি জাতের সজিনার চাষ হয়েছে।

এক সময় বাড়ির আশপাশের সীমানায় সজিনার গাছ লাগানো হতো। তবে সময়ের পরিক্রমায় এবং বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা এখন ফসলি জমিতেও সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সজিনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি সজিনা ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকায়।

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, “আমার বাড়ির সামনের রাস্তার দুই ধারে ও উঠানে ছোট বড় ৮টি সজিনার গাছ আছে। গত বছরে ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার সজিনা বিক্রয় করেছিলাম। আশা করছি, এবার আরো বেশি টাকার সজিনা বিক্রয় করতে পারবো।”

উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের তাছলিমা খাতুন জানান, আগে বাড়িতে খাবারের জন্য সজিনা লাগাতাম। গত কয়েক বছর হলো বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি সজিনা বাজারে বিক্রি করেছি। এবার গাছে প্রচুর সজিনা ধরেছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন বলেন, সজিনার মাতৃগাছ থেকে ডাল সংগ্রহ করে চারা রোপণ করা হয়। সজিনার তেমন কোন রোগ-বালাই নেই এবং সজিনা চাষের খরচ নেই বললেই চলে।

তিনি আরোও জানান, এটি একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ঔষধি গুণাগুণও আছে। অনেক জটিল রোগে সজিনা, পাতা ও সজিনা গাছের নানা অংশ ব্যবহার করা হয়। তাই বারো মাসি সজিনা চারা উৎপাদনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন