বেগুনি রঙের নতুন জাতের ‘সুন্দরী’ চাষ করা ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এ ধানের ফলন ও দাম দুটোই ভাল। গত মৌসুমে প্রতি কেজি এই ধান বীজ ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন কৃষক আব্দুল হাকিম। এবার আশা করছেন বিঘায় ৩০ মন ধান পাবেন।
ফসলের মাঠের চারিদিকে সবুজ রঙের ইরি-বোরো ধান। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বোরো ক্ষেতের মাঠ সোনালী বর্ণে পরিণত হলেও জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউপির চড়ারহাটের পশ্চিম পার্শ্বে বিরামপুর-ঘোড়াঘাট পাকা সড়কের উত্তরধারে নজর কাড়া বেগুনি রংয়ের “সুন্দরী” ধান ক্ষেত সবার নজর কেড়েছে। তার এই ধান চাষ দেখে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেক কৃষক।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম এবারেও প্রায় এক বিঘা জমিতে এই ধান ‘সুন্দরী’ চাষ করছেন। পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাটের পশ্চিম পাশে বিরামপুর-ঘোড়াঘাট পাকা সড়কের উত্তরে নজর কাড়া এ ধানের খেত। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার আশা করছেন গতবারের চেয়ে বেশী ধান পাওয়া যাবে। ১ বিঘায় প্রায় ৩০ মণ। এ মে মাসের শেষ সপ্তাহে এই ধানা কাটা-মাড়াই করা হবে বলে জানান তিনি।
কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, ওই বেগুনি রংয়ের ধান চলতি বোরো মৌসুমেও চাষ করা হয়েছে। ১ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউপির দুলালী বেগমের কাছ থেকে ওই ধান বীজ নিয়ে এনে চাষ শুরু করে। গত ২ মৌসুম ধরে এ ধানের চাষ করেছেন। অন্যান্য ধানের চারা দেখতে সবুজ হলেও সুন্দরীর ধানের চারা বেগুনির রঙের হয়। বর্তমান সময়ে ক্ষেতটির গোছাগুলি উফশী জাতের ধানের মত। গোছার রং বেগুনি। ধান গাছের গোছাগুলি উফশী জাতের মত এবং গোছার রং বেগুনি হলেও ধানের রং হয়েছে উফশির মত এবং ধানের গায়ে ফোটা ফোটা দাগ রয়েছে। চাল সুগন্ধিযুক্ত সাদা রংয়ের।
তিনি জানান, বেগুনি রংয়ের এই সুন্দরী ধান বোরো মৌসুমেই ভাল হয়। আমন মৌসুমে ততটা ভাল হয় না। এ ধান চাষে তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদানসহ তদারকি করছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ধান চাষে ওই কৃষককে তার বিভাগ থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৯মে২০