নতুন জাতের ধানে বছরে চার ফলনের সম্ভাবনা

91

সাধারণত ১৪০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যে ধান উৎপাদন হয়। তবে সেই ধান যদি ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়, সেটি বিরাট সম্ভাবনাময়। আর ‘ব্রি৯৮’ আউশ ধান সেই সম্ভাবনাই নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, নতুন জাতের এই ধান ৯০-১০০ দিনে উৎপাদন হচ্ছে; ফলনও বিঘায় ২৫-৩০ মণ। এ জাতটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মুশুদ্দি গ্রামে গতকাল শনিবার ব্রি৯৮ জাতের আউশ ধানের ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দিন দিন কৃষিজমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বারবার ফসল ফলাতে হবে, বেশি করে ফসল ফলাতে হবে।’

উন্নত জাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বোরো ও আমনের চাষ বেড়েছে। এরই মধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্প জীবনকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন। ব্রি৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এ জাতটি মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে।’

একই জমিতে বছরে চারটি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান কৃষক ইকবাল। তিনি জানান, ব্রি৯৮ জাতের এই আউশ ধানটি ২০ দিনের চারাসহ মোট ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এই জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনের ব্রি৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন সরষের আবাদ করবেন।