নতুন জাতের ধান বিঘায় উৎপাদন ২৯ মণ

418

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ জাত পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে বিঘা প্রতি ২৯ মণ উৎপাদন পাওয়া গেছে। দেশে আবাদকৃত অন্যান্য জাতগুলোর চেয়ে এ ফলন অনেক বেশি।

কুড়িগ্রামের পৌরসভা-২ ব্লকের কামারপাড়া এলাকার কৃষক মো. আব্দুর রহমান (৪৫) ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরবরাহ করা ১ কেজি বীজ ধান দিয়ে তৈরি বীজতলার চারা পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে রোপণ করেন।

কৃষক আব্দুর রহমান জানান, অন্যান্য জাতের মতো সার-কীটনাশক ব্যবহার, সেচ প্রদান ও পরিচর্যা করে ১২৫ দিন কেটেছেন। অন্যান্য জাত আবাদ ও কাটা মাড়াই খরচ বিঘা প্রতি সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো। এ জাতের আবাদ খরচও একই রকম। বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। অথচ অন্যান্য জাতের বিঘা প্রতি ফলন ১৭ থেকে ২০ মণ। আর প্রায় একই রকম খরচ করে একই সময়ে এ জাতে ফলন পাওয়া গেছে বিঘায় ২৯ মণ।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেলে কামারপাড়া গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাইব্রিড রাইস বিভাগের সহযোগিতায় সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ নতুন জাত সম্প্রসারণে স্থাপিত প্রদর্শনীর ফলাফল প্রদর্শনে আয়োজিত মাঠ দিবসেিএ সব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা, বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা আফরোজা পারভীন ও কৃষক আব্দুর রহমানসহ এলাকার কৃষকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশগ্রহণ করেন। সূত্র: সময় টিভি

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭জুন২০