চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ একটি প্রতিযোগীতা মূলক কার্যক্রম। বাংলাদেশ দানাদার ফসলে সয়ংসম্পূর্ণ। সবজি ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফল, সবজির মধ্যে বারি টমেটো-১৭ উল্লেখযোগ্য একটি জাত। এ জাতটি দেখতে হাইব্রিড টমেটোর মত। ফলনও হাইব্রিডের চেয়ে বেশী। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন করে চাষ করা যায়। বিশেষ করে ভাইরাস ও বিভিন্ন রোগ সহনশীল হওয়ায় এজাতটি চাষ করে কৃষকরা বেশী মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এ জাতটি আকারে বড় হওয়ায় অন্যান্ন জাতের চেয়ে ফলনের পরিমান বেশী। হেক্টরপ্রতি ফলন ৭০-৭৫ টন। প্রতিটি টমেটোর ওজন ১৮০-১৯০ গ্রাম হয়ে থাকে। হাইব্রিড টমেটো চাষ করে বীজ উপাদন করা যায় না। তাই প্রতি বছর অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হাইব্রিড টমেটোর বীজ ক্রয় করতে হয়। বারি টমেটো-১৭ চাষ বাস্তবায়ন হলে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে আসবে। কৃষকের বানিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা এর উদ্যোগে, কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার নাঁওতলা কৃষক মোঃ সফিক মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়ার জমিতে বারি টমেটো -১৭ এর প্রদর্শণী হিসেবে চাষ করা হয়।
বারি উদ্ভাবিত টমেটোর বিস্তার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষে এবং এলাকার কৃষকদের অবহিত করার উদ্যেশ্যে ২৮/০২/২০২৩ তারিখে চান্দিনা নাঁওতলা কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। মাঠ দিবসে সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মিঞা মোঃ বশীর’র সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বারি, কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ উবায়দুল্লাহ কায়ছার। এসময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মোঃ ছাদেকুর রহমান, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, কুমিল্লা; মোঃ জানে আলম, উপসহকারী কৃষি অফিসার, চান্দিনা, কুমিল্লা। সঞ্চালনা করেন, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, কুমিল্লা।