সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির একটি মুরগির নাম হলো বিএনডি। এই বিএনডি প্রজাতির মুরগি বছরে ডিম দিবে ১৫০-২০০ টি পর্যন্ত। পাশাপাশি এই জাতের মুরগিটির মাংসের উৎপাদনও দেশী মুরগির থেকে তুলনামূলক ভালো। এমনি একটি উচ্চ ডিম ও মাংস প্রদানকারী মুরগির জাত হল বিএনডি।
নতুন এই বিএনডি প্রজাতির মুরগিটি মূলত ব্রয়লার, নেটো এবং ডারহামবে প্রজাতির মুরগির জিনের সংমিশ্রণে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই জাতের মুরগিটি ব্রয়লারের মতই দ্রুত বর্ধনশীল। পাশাপাশি এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল হওয়ায় মৃত্যু হার খুবই কম। যার ফলে খামারি পর্যায়ে এই জাতের মুরগিটি ব্যাপক সারা ফেলবে বলেও আশাবাদী উদ্ভাবকরা
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্স (আইসিএআর)-এর ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি সায়েন্স ডিভিশন উন্নত এবং সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির মুরগি উদ্ভাবন করেছে। আইসিএআর-এর ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি সায়েন্স ডিভিশনের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. বিনয় সিং এসব তথ্য জানান।
বিএনডি প্রজাতির মুরগির একটি অন্যতম বিশেষত্ব হল এরা বছরে ১৫০ থেকে ২০০টি ডিম দেয়। যেখানে দেশীয় জাতের একটি মুরগি বছরে ডিম দেয় ৫০-৬০ টি। এছাড়াও এই প্রজাতির মুরগির ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেশি প্রজাতির মুরগির একটি ডিমের ওজন সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। পাশাপাশি একটি দেশি মুরগির ওজন ১ থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হলেও এই প্রজাতির মুরগির ওজন হয় আড়াই থেকে ৩ কেজি।
উল্লেখ্য যে, কালার ব্রয়লার প্রজাতির মোরগ ও স্থানীয় প্রজাতির মুরগির মধ্যে মিলন ঘটিয়ে সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়েছে। এর পর নতুন প্রজাতির মুরগির সঙ্গে ডালহামরেট মোরগের মিলন ঘটানোর পর চূড়ান্ত পর্যায়ে বিএনডি প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রঃ বাংলা নিউজ
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২১ জানুয়ারি ২০২২