নবজাতকের যত্ন :
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের পেটের বাচ্চার কোন কাজ করতে হয় না।প্রসবের পর বাচ্চা নতুন পরিবেশ পায়।তাই,বাচ্চার জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।জন্মের পর ভালোভাবে যত্ন না নিলে উন্নতমানের বাচ্চা পাওয়া যায়না।
আসুন জেনে নেই প্রসবের পরে বাচ্চার যত্নের নিয়মাবলিঃ
★শ্বাস প্রশ্বাস চালু করাঃ
√আঙুলের সাহায্যে নাক ও মুখ থেকে শ্লেষ্মা বা মিউকাস বের করতে হবে।
√জিহ্বায় হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।হাত পরিষ্কার থাকতে হবে।
√পরিষ্কার কাপড় বা চটের বস্তা দিয়ে বাচ্চার পরিষ্কার করতে হবে এবং দ্রুত বাচ্চাকে মায়ের সামনে রাখতে হবে যাতে মা বাচ্চার শরীর চেটে পরিষ্কার করতে পারে।
√চটের বস্তা বা তোয়ালে বুকে লাগিয়ে আলতো চাপ দিলে বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাস চালু দ্রুত চালু হয়।
√এরপরও যদি শ্বাস প্রশ্বাস চালু না হয়,তখন পিছনের পা ধরে উপরে তুলতে হবে যাতে মাথা নিচুর দিকে থাকে ফলে ভিতরে জমে থাকা মিউকাস বা শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে।
এরপরও না হলে সামনের পা ধরে একবার উপরের দিকে আর একবার নিচের দিকে উঠানামা করাতে হবে যাতে নেগেটিভ ইন্ট্রাথোরাসিক প্রেসারের কারণে প্রথম শ্বাস চালু হয়।
√এরপরও না হলে দ্রুত ভেটেরিনারিয়ান এর পরামর্শ নিতে হবে।
****বাছুরের মুখে মুখ লাগিয়ে ফু দেয়ার যে পদ্ধতি আছে,সেটা অনুসরণ না করাই ভালো,এই পদ্ধতিতে ফুসফুসের ফ্লুইড (জন্মের আগে থাকে) চারদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে।
★★★শাল দুধ(কলোস্ট্রাম)খাওয়ানোঃ
জন্মের সময় বাচ্চার শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।তাই জন্মের ২-৩ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চাকে শালদুধ খাওয়াতে হবে,যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
১টি বাছুরের ওজন যদি ৩০ কেজি হয়,সে প্রতিদিন ৩লিটার দুধ পাওয়ার যোগ্য।এই ৩ লিটার দুধ একবারে না খাওয়ায়ে দিনের বিভিন্ন সময়ে খাওয়াতে হবে।
★তাপমাত্রাঃ
প্রথমে ২৪ ঘন্টা ৩০°-৩৩° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে।যা পরবর্তী ৩ দিনে কমে ২৬°-৩০°সেলসিয়াসে আনতে হবে।
★নাভিঃ
২ইঞ্চি রেখে কেটে দিতে হবে।বেধে দেয়া যাবেনা।এন্টিসেপ্টিক সল্যুশনে ডুবিয়ে দিতে হবে।লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মাছি না বসে,আর যায়গাটি যেন শুকনো থাকে।
★মিকোনিয়ামঃ
নবজাতকের প্রথম মল কে মিকোনিয়াম বলে।যা অনেক সময় মলাশয়ে থাকে।ফলে কোলিকের উপসর্গ দেখা যায়। এরকম হলে ডাঃ এর পরামর্শে পানি+গ্লিসারিন/ক্যাস্টর অয়েল রেকটামে দিতে হবে।
এই পরিচর্য়াগুলো মেনে চললে বাছুরের অনেক রোগ থেকে প্রতিরোধ করা যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫অক্টোবর২০