ফুলকপির নতুন জাত আবিষ্কার

990

ফুলকপি

বাঁধাকপি বা ফুলকপি আমাদের অতি পরিচিত একটি সবজি। হাতের কাছে সহজলভ্য এ সবজিটি দেখে বোঝার উপায় নেই, নানামুখী পুষ্টি ও ভেষজ গুণের কারণে এটি এখন ‘সুপারফুড’ বলেও আখ্যা পাচ্ছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে আবাদকৃত ফুলকপির অধিকাংশই সংকর জাতের। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা কিছু জাত রয়েছে, যেগুলো স্থানীয় আবহাওয়ায় বীজ উৎপাদনের উপযোগী নয়। দেশে আবাদকৃত অন্যান্য সবজির মতো ফুলকপিরও আগাম, মধ্য মৌসুমি ও নাবি জাত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আগাম ও নাবি জাতগুলো অনেকটাই উৎপাদনকালের তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল।

দেশে আগাম (কার্তিকা) যেসব জাতের ফুলকপি চাষ হয়, তার মধ্যে রয়েছে কুঁয়াচি, আগাম পাটনা, পুষা কার্তিকা, পুষা দিপালী, পুষা সিনথেটিক ইত্যাদি। এসব আগাম জাতের ফুলকপি আবাদের ক্ষেত্রে বড় একটি অসুবিধা হলো, দেরিতে বপন করা হলে গাছ খুবই কম সময়ের মধ্যে ফুলকপি উৎপাদন করে। এতে সময় কমলেও ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।

মধ্য মৌসুমি (অঘ্রাণী ও পৌষালী) জাতের মধ্যে রয়েছে আশ্বিনী, পৌষী, পাটনা ইত্যাদি। এছাড়া দেশে আবাদকৃত নাবি জাতগুলো হচ্ছে দানিয়া, স্নোবল ডি-১৬, স্নোবল-১, স্নোবল-২ ইত্যাদি। এছাড়া সময়মতো রোপণ করা হলে স্থানীয় জাতগুলোও বাড়তি ফলন দিতে সক্ষম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) রূপা নামে একটি জাত বের করেছে।

সরকারি তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত ফুলকপি বেশির ভাগই বিদেশি জাতের। প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কমপক্ষে দুই ডজন জাতের বীজ আমদানি হয় এবং এগুলোর অধিকাংশই সংকর। দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা নামহীন কিছু জাতের ফুলকপি আবাদ করে থাকেন, এগুলোর বেশির ভাগই বেশ ভালো জাত। এক্ষেত্রে কৃষকরা নিজেরাই নিজেদের বীজ উৎপাদন করে থাকেন। এসব জাত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা উচিত।

বাংলাদেশে উৎপাদিত ফুলকপি বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হলে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে পণ্যটির বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করা সম্ভব।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন