নারায়ণগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার খেজুর জব্দ

101

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মজুত করে রাখা প্রায় ৪৯ লাখ টাকা মূল্যের ৩১ মেট্রিক টন খেজুর জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

গতকাল মঙ্গলবার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় স্টার মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজের দুটি প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোপলিটনের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে খেজুরগুলো জব্দ করা হয়।

আরও এক কোল্ড স্টোরেজে ১৪ মেট্রিক টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুত করা ছিল। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ খেজুরগুলোর মেয়াদ ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত।

ভুয়া স্টিকারের মাধ্যমে খেজুরের মেয়াদ বাড়িয়ে পুনরায় বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের, বলেন আব্দুস সালাম।

এছাড়া কোল্ড স্টোরেজে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের ১৭ মেট্রিক টন মজুতকৃত খেজুর উদ্ধার করা হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ২৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে সংকট সৃষ্টি করে এ খেজুরগুলো বাজারজাত করতে চেয়েছিলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমরা খেজুরগুলো সিল করে দিয়েছি।’

‘১৪ মেট্রিক টন মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ১৭ মেট্রিক টন কাগজপত্রবিহীন খেজুর পেয়েছি আমরা। এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত শেষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে,’ তিনি বলেন।

চলতি রমজানে অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহƒত জাইদি খেজুরের খুচরা মূল্য ১৭০ থেকে ১৮০ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইফতারের অন্যতম খাদ্য উপাদান হওয়ায় প্রতি বছর রমজান মাসে দেশে খেজুরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। তবে রমজানের আগেই এবার অস্থির হয়ে ওঠে খেজুরের বাজার।

বাজারে নিম্নমানের খেজুরের দামও গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। গত বছর যা ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা।

আমদানিকারকদের দাবি, এ বছর খেজুর আমদানিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুল্ক বাড়ানোর কারণে দামও বেড়েছে অনেক।

তবে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক-কর কমিয়েছে সরকার। কিন্তু তাতেও দাম খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে খেজুরের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল।