নারীদের দূর্বল মনে করেন না কৃষিমন্ত্রী

311

মন্ত্রী

চিরকালই নারীরা পুরুষের সমান্তরাল। কৃষিসহ সবখানেই নারীরাদের সরব উপস্থিতি। কিন্তু শুধুমাত্র খেলাধুলায় নারীরা পিফিয়ে ছিলেন পুরুষের চেয়ে। তবে আশার কথা হলো,এদেশেরে নারীরাও ক্রীড়অঙ্গনে আসতে শুরু করছেনে- সাফল্য নিয়ে।আমাদের দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলা-ধুলার প্রতি প্রবল ভালোবাসা রয়েছে।

বাংলাদেশের নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য একদিনে হয়নি।এই র্অজন কিংবা স্বীকৃতি পেতে নারীকে বহু বছর অপক্ষো করতে হয়ছে। আজ কৃষি মন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বঙ্গমাতা এশিয়ান সিনিয়র ওমেনস সেন্ট্রালজোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি নারীদের পথচলা সহজ ও সুগম হয়ছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেো নারীর ক্ষমতায়ন এর কথা উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারের যা যা আছে তা সম্পুর্ণ বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ। এই লক্ষ অর্জনে নারীদের পিছনে রেখে বা তাদেরকে দূর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই। কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন; বহু কাজ আছে এদেশেরে নারীদের। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা অর্জন করা,সে লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে যার যার অবস্থান হতে কাজ করতে হবে। গত এক দশকে তো নারী ক্রীড়াঙ্গনরে চেহারাই পাল্টে গেছে।

যেকোন পর্যায়ে সাফল্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেনে বারবার। অথচ ১৫ বছর আগেো এমনটি কল্পনা করা যেত না। ফুটবল ক্রীকেটের মত ভলিবলেও বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করবে। সামাজকি প্রতবিন্ধকতা পেরিয়ে জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের ভাবর্মূতি উজ্জ্বল করছেন এদেশের অদম্য নারী ক্রীড়াবিদরা। তাদের এগিয়ে চলার সাহস এদেশেরে যুব সমাজকওে প্রবলভাবে অনুপ্রাণীত করছে। এই বলষ্ঠি ও অনুকরণীয় ভূমিকা নারীর চলার পথকে আরো সুগম করতে সহায়তা করছে। নিশ্চয়ই এই প্রেরণা নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যাবে এদেশেরে নারীরা। আর তাদরে চলার পথকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে এদেশের সরকার,বিত্তবান ও পৃষ্ঠপোষকরা বল্লেন কৃষি মন্ত্রী। নারীরা খলোধুলার সঙ্গে জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। শিক্ষার হার ও নেতৃত্বগুণ বাড়ানো এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হতে পার।

সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ইউনুস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু প্রমুখ এবং বাংলাদেশ ওলেম্পিক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট লেঃজেনারেল (অঃ) শহিদ রেজা। মোট ছয়টি দেশ অংশগ্রহণ করে যেমন আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, তুর্কমেনিস্তান ও বাংলাদেশ এই ছয় দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের মাটিতে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশের মেয়েরা। অনুষ্ঠানে নেপাল ও মালদ্বীপের রাস্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে বিজয়িদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রী।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ