নারী শ্রমিকরা পায় পুরুষের অর্ধেক মজুরী

662

নারী শ্রমিক

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে কৃষি কাজে নারীদের অংশগ্রহণ বেশ চোখে পড়ার মত। দেখা যায় পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি।

নারী শ্রমিকরা জানান, কর্মক্ষেত্রে মজুরির বৈষম জেনেও জীবিকার তাগিদে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পুরুষ শ্রমিকের সঙ্গে সমান তালে কাজ করলেও কখনও কখনও পুরুষ সহকর্মী কিংবা মালিকদের হাতে লাঞ্চনায় শিকার হতে হয় তাদের। এমনকি অনেক সময় নারী বলে কাজে নিতেও আপত্তি জানান মালিক পক্ষ।

তারা বলেন, কাজের ধরণ সময় অনুসারে মজুরী নির্ধারণ করা হলেও নারীরা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকের অর্ধেক কিংবা তার চেয়েও কম মজুরী পান। পুরুষ শ্রমিক দৈনিক ৩০০৫০০ টাকা মজুরী পেলেও নারী শ্রমিককে দেওয়া হয় ১৭০২০০ টাকা।

শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, অনেক ক্ষেত্রে ঘরেও বঞ্চনায় শিকার হন তারা। তারা সরকারের কাছে এই বৈষম্যের প্রতিকার চান।

উপজেলার চলনবিল এলাকায় অনেক নারী শ্রমিককে দেখা যায় কেউ রসুনের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছে কেউ বা আবার ধানের জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে।

মজুরি কত পান জানতে চাইলে আমেনা, রাজিয়া, রজুফাসহ কয়েক জন নারী শ্রমিক জানান, মজুরি পাই ১৭০ টাকা থেকে ২০০টাকা। কিন্তু পুরুষদের দেওয়া হয় দিগুনেরও বেশি টাকা। এটাই তো নিয়ম। কাজ এক রকম করলেও নারী বলেই কম মজুরি পাবো।

তারা আরো বলেন, সংসারের জাবতীয় কাজ ছাড়াও পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করি মাঠে ঘাটে সর্বত্র। অথচ দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বাড়ছে তার তুলনায় আমাদের এই মজুরিতে সংসার চলে না।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, কৃষি কাজে নিয়োজিত নারীপুরুষের শ্রম বৈষম্য নিরসনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী শ্রমিকদের সকল কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। সেই সাথে কমিয়ে আনা হোক মজুরি বৈষম্য। তবেই না কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলতে পারবেন নারীরা দেশও হবে স্বনির্ভর।