মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশ বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ তম দেশ। এদেশের অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক চাষিরা মাছ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছ চাষ করতে গিয়ে যে বিষয়টি খুব গুরুত্বের সহিত দেখতে হয় তা হলো মাছের খাদ্য। মাছের খাদ্যের উপর নির্ভর করে মাছের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন।
যারা হাতে খাবার বানিয়ে পুকুরে প্রয়োগ করতে চান তাদের জন্য মাছের খাদ্য তৈরির সাধারণ ফর্মূলাঃ
কার্প-(২৪-২৫%আমিষ)
১। অটোব্রান —– ৩০ কেজি
২। ডিওআরবি —- ৩০ কেজি
৩। সয়াবিন——- ৩৫ কেজি
৪। ফিসমিল —— ৫ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম – এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারণত ধরা হয় না)
তেলাপিয়া/পাঙ্গাস ( ২৮-২৬%
১। অটোব্রান —– ২৫ কেজি
২। ডিওআরবি —- ২৫ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ১০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না))
শিং-মাগুর ( ৩২-৩০% আমিষ)
২। ডিওআরবি —- ২০ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ২০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম; এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) )
চিংড়ি ( ৩৫-৩৩ % আমিষ)
১। অটোব্রান —– ১৫ কেজি
২। ডিওআরবি —- ১৫ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। এ্যাংকোর——–১০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ২০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রা; এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) )
ডিও আরবি না পেলে অটো ব্রান দিবেন।
**পিলেটিং করতে পারলে ভাল হয়।
মাছের খাদ্যে আমিষ উপাদান
সয়াবীন মিল(৪২-৪৪%আমিষ),
রেপ সিড অয়েল কেক(৩৬% আমিষ),
ফিশ মিল এনালগ(৬২% আমিষ),
ফিশ মিল (গ্রেড-২, আমিষ ৫৪% প্রায়),
এ্যাংকর ডালের(vetch) খুদ(৩৬% আমিষ),
খেসারীর খুদ(২৯% আমিষ),
মসুরের খুদ(২৪%আমিষ) সহ
বিভিন্ন ডালের খুদ (২৪%) সংযুক্ত করুন।
মন্তব্যঃ – এই ফর্মূলায় প্রস্তাবিত আমিষের পাশাপাশি অন্যান্য আমিষ যুক্ত করা যেতে পারে।এগুলির মূল্য মান/ কেজির জন্য হবে প্রায় আমিষের হারের উপর ৫-১০টাকা বেশী হারে। তবে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপাদান বা বাজার দরের উপর নির্ভর করবে।
লেখাঃ কাজী আবেদ লতীফ,
সহকারী পরিচালক,
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, দিনাজপুর।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৬ মে ২০২১