বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে এন্টিবায়োটিক। পরবর্তীতে এই এন্টিবায়োটিক খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানবদেহের ক্ষতি করে। এন্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে হারবাল মেডিসিন।
এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে হারবাল ন্যাচারাল গ্রোথ প্রমোটার। মাত্রাতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এতে মানবদেহে কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে। ফলে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প ওষুধ হিসেবে হারবাল মেডিসিন ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমান পদ্ধতির পোল্ট্রি উৎপাদনের কারণে জীবাণু সংক্রমণ বেশি হয় এবং দ্রুত বিস্তার করে লাখ লাখ মুরগি মারা যায়। মুরগির রোগ প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক এবং খাদ্যে এন্টিমাইক্রোবায়ালস দেয়া হয় বলে মুরগির মাংস ও ডিম মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা পোল্ট্রির মাংস ও ডিম শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের মধ্যে রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বিনষ্ট হয়। সেই সঙ্গে স্যালমনেলা এবং অন্যান্য বেশ কিছু মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রোগ সৃষ্টি হতে পারে মানুষের দেহে।
বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যে এন্টিমাইক্রোবায়ালস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে পাঁচশ ঔষধি উদ্ভিদ প্রজাতি বা ভেষজ। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও শুরু করা যেতে পারে। হারবাল মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম বিধায় এন্টিবায়োটিকের বিকল্প ওষুধ হিসেবে হারবাল মেডিসিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেখক: ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, ফার্মগেট, ঢাকা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন