নীলফামারীর ডোমারে স্বাদুপানিতে মুক্তা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন দুই যুবক। মাছ চাষের পাশাপাশি স্বল্প খরচে মুক্তা উৎপাদন করছেন তারা। তবে দেশে মুক্তার বাজার তৈরী না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন সঠিক দাম থেকে। যদিও মুক্তার বাজার তৈরীতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা।
আভিজাত্য ও সৌখিনতার অন্যতম অনুসঙ্গ মূল্যবান রত্ন মুক্তা। দেশে এতদিন প্রাকৃতিক ভাবে সংগ্রহ করা হলেও কয়েক বছর ধরে স্বাদুপানিতে কৃত্রিমভাবে মুক্তা চাষ হচ্ছে।
এক বছর আগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নেন নিলফামারীর ডোমারের দুই যুবক জুলফিকার রহমান বাবলা, সেলিম আল মামুন। এরপর নিজ গ্রাম হাজীপাড়ায় নিজেদের পুকুরেই শুরু করেন ইমেজ পার্ল নামের ঝিনুকে মুক্তা চাষ। বাড়তি পরিচর্যা ছাড়া কিছু যন্ত্রপাতি আর স্বল্প খরচে মাছের সাথে মুক্তা চাষ করছেন তারা।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের জেষ্ঠ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস সিদ্দিকী জানালেন, অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে ২০১২ সাল থেকে সরকারি উদ্যোগে স্বাদুপানিতে মুক্তা চাষ হচ্ছে। এছাড়া মুক্তার বাজার তৈরীতেও সরকার কাজ করছে।
ভালো বাজার তৈরী করতে পারলে দেশে মুক্তা চাষের প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।