নীলফামারী: রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলায় বাঁশ চাষের উন্নয়ন ও বাঁশের ব্যবহার বাড়াতে নীলফামারী জেলার ডোমারে স্থাপিত হচ্ছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
পরিকল্পিত বাঁশ চাষে অধিক লাভ ও এর বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ১৭ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন গবেষণা ইনস্টিটিউট।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ডোমার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বনবিভাগ এলাকায় ওই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চাষী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন তিনি।
ওই মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি জানান, কৃষিনির্ভর নীলফামারী জেলায় আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ উদ্যোগ।
২০১৩ সালে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সাথে মুক্ত আলোচনা শেষে তিনি এ সিদ্ধান নেন। ৫ বছরের ওই প্রকল্পটি কাজ করবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। পরিকল্পিত বাঁশ চাষে কৃষকদের আয় বাড়বে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বাঁশ শিল্পের প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি বাঁশ উৎপাদনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত বাঁশের বেশীরভাগই দেশের উত্তরে রংপুর বিভাগে উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা অন্যতম। বাঁশ উৎপাদন ও এর বহুমুখি ব্যবহার বাড়াতে ওই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাজ করবে।’
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. খুরশীদ আকতারের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোজাহেদ হোসেন, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার, বন অধিদপ্তরের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জহির উদ্দিন আহমেদ, বগুড়া আঞ্চলিক বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা, ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
প্রকল্প পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৭ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম।বাসস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন