নড়াইলের লোহাগড়ায় বাড়ছে ঔষধী ফসল কালোজিরার চাষ

441

কালোজিরার চাষ

নড়াইল: জেলার লোহাগড়ায় কালোজিরা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে কালোজিরার চাষ হয়েছে। কালোজিরা উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে বেশি লাভের জন্য মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ বছর চাষ হয়েছে কালোজিরা। লোহাগড়ার আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে মসলা জাতীয় ফসল কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু অল্প পুঁজি বিনিয়োগে অধিক লাভ হওয়ায় উপজেলায় এ বছর ৪০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের কালোজিরা চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার ইতনা পূর্বপাড়ার কালোজিরা চাষি ইসমাঈল শেখের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কালোজিরার বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিঘা প্রতি ৮ মণ কালোজিরা উৎপাদন হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহ করায় এবং কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ‘আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছি। আশা করছি ফলন খুব ভালো হবে। এ জমিতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। কালোজিরা ঘরে উঠানো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, আর বাজার মূল্য যদি ঠিক থাকে তাহলে লক্ষাধিক টাকার কালোজিরা বিক্রি করা যাবে।

একই গ্রামের কালিপদ সরকার বলেন, বাজারে কালোজিরার যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এ কালোজিরা আমাদের কাছে কালো সোনা। এ ছাড়াও শৈলেন শিকদার, লিটু শেখ, হিশাম চৌধুরী, পলাশ শেখ, রুনুু মোল্যা ও রবি চৌধুরীসহ অনেকে চাষিই কালোজিরার চাষ করছেন। তবে আগামীতে দ্বিগুণ জমিতে কালোজিরার চাষ হবে বলে স্থানীয় চাষিরা ধারণা করছেন ।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিকদার ইমরানুর রহমান বলেন, কম খরচে অধিক লাভের জন্য বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়ে থাকে। লোহাগড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের জমি কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী বলেই এ বছর কৃষকরা ব্যাপকহারে কালোজিরা চাষ করেছেন। আগামী দিনে এ কালোজিরা উপজেলায় কালোসোনা নামে চিহ্নিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিএসএস

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন