পঞ্চগড় জেলায় এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক ও কৃষি বিভাগ ধানের বাম্পার ফলনে খুশি। পর্যায়ক্রমে এ জেলায় আউশ ধানের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ বলছে, আউশ ধান চাষে খরচ কম, বোরো কাটার পরে এবং আমন ধান রোপণের পূর্বে জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়ে থাকে। এ ধান কেটে আমনের রোপা লাগানো যায়। ফলনও হয় বিঘা প্রতি ১৬/১৮ মণ পর্যন্ত। দেশীয় জাতের ধান হিসেবে আউশ চালের ভাত বেশ ভালই সুস্বাদু হয়।
জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি গ্রামের চাষী গোলম কিবরিয়া তার এক একর জমিতে ব্রি- ৮২ জাতের আউশ ধান লাগিয়েছে। ধান রোপণ থেকে শুরু করে কর্তন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। ধান পেয়েছেন প্রায় ৫০ মণ। বাজার দর হিসেবে ধানের দাম আসে ৩০ হাজার টাকা। খর বিক্রি করেছে ৬ হাজার টাকার। য়া খরচ বাদে লাভ থাকে। আবার আউশ কেটে লাগিয়েছেন আমন ধান। আউশ ধান কর্তন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
চাষীদের মতে বোরো ধান ঘরে উঠানোর পর কৃষি মাঠ ও কৃষক উভয়েই অবসরে থাকেন তাই ফসলটিকে অবসরি ফসল বলে আখ্যায়িত করেছেন গ্রাম বাংলার চাষীরা। এ এলাকাতে ব্রি-৪৮, ব্রি-৫৫, ব্রি-৮২ এ সব জাতের ধান চাষ করেছেন চাষীরা। এ ধান গুলোর আয়ুষ্কাল ৯৬ থেকে ১১০ দিনের মত।
কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, মার্চের শেষার্দে বীজ বপন, মে মাসে চারা রোপণ, আগস্ট মাসে ধান কেটে আমন ধান সহজে রোপণ করা যায়। কোন বিঘ্ন ঘটে না। অল্প সেচে স্বল্প খরচে সব মিলিয়ে ফসলটি খুবই লাভ জনক। তাই আউশ ধানের চাষ এ জেলাতে ক্রমেই বাড়ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় এবার প্রায় ৫০০ হেক্টর জামতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে , উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র প্রায় ২৮০০ টন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ বলেন, আউশ ধানের চাষ বৃদ্ধি করণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করে আসছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।-বাসস
ফার্মাসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ