পদ্মার অনাবাদি চরে চীনাবাদাম চাষে সফলতা

95

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার পদ্মার অনাবাদি চরে চীনাবাদাম চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষকরা সোনালি ফসল বাদাম ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারে সচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসীর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে, চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ পদ্মার চরে বাদাম চাষ হয়েছে ৯৭০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি।

স্থানীয় চাষিরা জানান, একসময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পড়ে থাকত। যা চাষিদের কোনো কাজেই আসত না। জেগে ওঠা পদ্মার চরে চাষিরা চিনাবাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদাম চাষ। অর্থকরী এ ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষিরা ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন। খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের লাভের অংক তিনগুণ থেকে চারগুণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ প্রায় ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের বাদামচাষি সোহেল আহমেদ বলেন, খরচ কম, অল্প পরিশ্রমে লাভও বেশি। তবে এ বছর খরার কারণে বাদামের ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে। এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভালো লাভ হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন ফিলিপনগর চরের বাদামচাষি আজিজুল হক।

স্থানীয় দৌলতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুনজাত সরবরাহসহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং সবধরনের সহায়তা দেয়ার ফলে বাদামের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।