কম দাম এবং অধিক পুষ্টির জন্য পৃথিবী জুড়ে সবচে গরুর বেশি ব্যবহৃত সহযোগী খাদ্যের নাম হচ্ছে ভুট্টা। যেহেতু ঘাস গরুর প্রধান খাবার, দানাদার খাবারকে গরুর সহযোগী খাবার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। একই গাছে পুরুষ এবং স্ত্রী রেনুর ফুল থাকায় এবং সি ৪ ফটোসিনথেটিক প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করায় কম জমিতে সবচে বেশি শক্তি উৎপাদন করার ফসলের নাম ভুট্টা। অধিক পরিমাণে স্টারর্স সঞ্চিত থাকায় ভুট্টা থেকে অধিক পরিমানে শক্তি উত্পন্ন হয়।
ভুট্টার পুষ্টিগুণ:
প্রচুর বাইপাস প্রোটিন থাকায় ভুট্টা দুধের মান ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। একই সাথে মোটাতাজাকরণের জন্য ও ভুট্টা একটি উত্তম সহযোগী খাবার হিসাবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। পাকা ভুট্টা সংগ্রহ করার পরে শুকানো ভুট্টা আধা ভাঙা করে গরুকে অন্যান্য দানাদার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। গরুর জন্য পরিবেশিত খাদ্যে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় :
ড্রাই ম্যাটার : ৮৭%
স্টার্চ : ৬৫-৭০%
হজ্বমযোগ্য এনার্জি : ৮৫-৯০%
তেল : ৪-৪.৫%
ক্রুড প্রোটিন : ৮-১২ %
ক্রুড ফ্যাট : ২.০%
এ ডি এফ : ৩.৫%
শোষিত এনার্জি : ৩.১ মেগাজুল/কেজি
ক্যালসিয়াম : ০.০২ %
পটাসিয়াম : ০.৩৫%
ম্যাগনেসিয়াম : ০.১২ %
ক্যালসিয়াম : ০.৪২
সোডিয়াম : ০.০২%
মাত্রা ও সতর্কতা :
দুধের গরুকে দৈনিক দানাদার খাদ্যে সর্বোচ্চ ৪০% এবং ষাঁড় গরুকে সর্বোচ্চ ৫০% ভুট্টা দেয়া যেতে পারে। তবে স্বাভাবিকভাবে দৈনিক দানাদরের ৩০% পর্যন্ত সুষম পরিমান হিসাবে ধরা হয়। গরুর প্রধান স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে ঘাস ও খড় এবং মাত্রাতিরিক্ত স্টারর্স জাতীয় খাবার যেহেতু গরুর জন্য ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত ভুট্টা গরুর পাকস্থলীতে অম্লতা বা এসিডিটি সৃষ্টি করে।