পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস! দর নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবি!
রেডি মুরগী, ডিম ও চাষের মাছের দর নিম্নগামী সাথে যোগ হয়েছে বৈশ্বিক মহামারী করোনা সহ নানা প্রতিকূলতা যার প্রেক্ষিতে ভালো নেই পোল্ট্রি ডেয়ারি ও মৎস্য খামারিগন, ফার্মগুলো বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কোন রকম দায়সারাভাবে টিকে আছে, তার মধ্যে মরার উপর খরার ঘা- ইদানীং করে লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে পশুজাত খাদ্যের মূল্য, লক্ষ্য করলে দেখা যায় ফিড তৈরীর কাঁচা মালের ভরা মৌসুমেও এর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়নি, যেটা অত্যন্ত দুঃখ জনক কষ্টকর ও অমানবিক!
-খামারিসহ সংশ্লিষ্টদের সময়ের দাবি অতি সত্তর- ফিড তৈরীর (কাচামাল) উপকরণসহ সকল পশুজাত খাদ্যের মূল্য পূর্ণ নির্ধারণ করে প্রন্তিক খামারিদের সাধ্যের মধ্যে আনা হোক, তা-না হলে লোকসানের মুখে পরে খামার-গুলো বন্ধের উপক্রম হবে অপরদিকে উৎপাদন ব্যহত হয়ে জনবহুল এদেশে দৈনন্দিন ভোজনের সহজ লব্ধ ও সস্তায় প্রোটিনের উৎস (ডিম দুধ মাংস) সাধারণের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে যাবে যাহা কারোই কাম্য নয়!
-এসংক্রান্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে নীতি নির্ধারনী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে জানতে চাইলে- উত্তরে বলেছিলেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা চলছে পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি/মতামত রয়েছে- আশাকরা যাচ্ছে- শীগ্রই এব্যপারে একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত হবে! আজ বহু দিন অতিবাহিত হলো দেখা গেলো উল্টো দর না কমে বরং আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে, যাহার সমীকরণ খুঁজে পাওয়া ভার?
পরিশেষেঃ
-সরকার উৎপাদক কোম্পানি তথা সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি সকল সার্থ পরিহার করে দেশের প্রন্তিক খামারি ও জনসাধারণের খাদ্য/পুষ্টির কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত বাস্তব মুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, এখানে মনে রাখা প্রয়োজন খামারি হলো সেক্টরের প্রাণ অতএব খামারি বাঁচলে- শিল্প বাঁচবে দেশ হবে সমৃদ্ধ আর তা-না হলে দেশে পুষ্টির ঘার্তির পাশাপাশি বেকারত্বের হার দিনদিন বৃদ্ধি পাবে কর্মহীন হয়ে পারবে লক্ষ লক্ষ লোক।
বিনিত নিবেদনঃ
মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্হাপনা পরিচালক ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা।
-দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত।
E-mail: brothers [email protected]
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৯ জুলাই ২০২১