নাহিদ বিন রফিক: পাটের প্রধান ফসল আঁশ হলেও এর পাতার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। শহরে তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও পাটশাক খুব জনপ্রিয়। আগে এ শাক বেচাকেনার প্রচলন ছিল না। কিন্তু ইদানীং বাজারে প্রচুর পরিমাণ পাটশাক পাওয়া যাচ্ছে। পাটের আলাদা দু’টো জাত রয়েছে, যার পাতার স্বাদও ভিন্ন। দেশী পাটশাক সামান্য তিতা তবে তোষা বা বগী পাটশাক খেতে বেশ সুস্বাদু। পক্ষান্তরে পুষ্টির দিক থেকে দেশী পাটশাক কিছুটা এগিয়ে। তাই এ জাতের শাকের চাহিদা বেশি। ডালের সাথে কচি পাটশাক খেতে দারুণ! এ ছাড়া ভাজি, ছোট মাছ দিয়ে রান্না করেও খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-সি’র পরিমাণ কম থাকলেও ক্যারোটিন আছে প্রচুর। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রামে শর্করা ১২.৬ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.০১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ১১৭০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.১৯ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬২ কিলোক্যালরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দৈনিক ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং বাচ্চাদের জন্য কমপক্ষে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ দরকার, যা পাটশাক হতে অনায়াসেই পেতে পারি। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-এ কেবল রাতকানা ও অন্ধত্ব (শিশুদের) থেকে রক্ষাই করে না; হাম, ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক ব্যাধির জটিলতা কমিয়ে শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস করে। পাটশাক মুখে রুচি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতসব উপকারের কথা ভেবে আমাদের বেশি করে পাটশাক খাওয়া উচিত।