পাবনা সদরে ব্রি ধান-২৯’র মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

394

এ.টি.এম[checklist][/checklist] ফজলুল করিম, পাবনা প্রতিনিধি: উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে চাষি পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ব্রি ধান-২৯’র ওপর এক মাঠদিবস ১৫ মে পাবনা সদরের গয়েসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

ইউপি. চেয়াম্যান মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বগুড়া অঞ্চলের সিনিয়র কৃষি প্রকৌশলী মো. রুবায়েতুর রহমান, উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোস এবং পাবনা জেলার পাটচাষি সমিতির সভাপতি মো. শাহাদত হোসেন মুন্সি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু সাইদ শিখন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বীজ সংরক্ষণের তাৎপর্য এবং চাষাবাদ কৌশলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ‘ভালো বীজে ভালো ফসল’ উল্লেখ করে কৃষকদেরকে নিজেদের বীজ নিজেদের সংরক্ষণ করে পরবর্তি মৌসুমে ব্যবহারের জন্য আহবান জানান।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বর্তমানে কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্য রচিত হয়েছে। সরকারের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহণ, সময়োচিত পদক্ষেপ, যথাসময়ে কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা প্রদান এবং কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কৃষিতে এক যুগান্তকারী উন্নয়ন লক্ষ করা যাচ্ছে। কৃষকদেরকে কৃষির আধুনিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে অধিক উৎপাদনের আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ইউপি. চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। তাই কৃষকের উন্নয়নের জন্য প্রণোদন সহায়তা কার্ড বিতরণ, কৃষকদের ব্যাংক হিসাব নম্বর খোলার সুবিধা প্রদান, সুলভ মূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণসহ নানাবিধ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে কৃষি আজ এক সমৃদ্ধশিল্পে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রিনা খাতুন, প্রদর্শনীপ্লটের চাষি মেহেদী হাসান লিটন বক্তব্য রাখেন। এর আগে অতিথিবৃন্দ সরেজমিনে প্রদর্শনীপ্লটের নমুনাশস্য কর্তন করেন। এতে ফলন পাওয়া যায় হেক্টর প্রতি ৭.৫ মে.টন। অনুষ্ঠানে প্রায় ২শ’ ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।