পিরোজপুরে ৪ হাজার ৩২৫ কৃষক রবিশস্য কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন

305

কৃষিখাত

পিরোজপুর : জেলায় চলতি রবিশস্য মৌসুমে প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন ৭ উপজেলার ৪ হাজার ৩২৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের এ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালকের কার্যালয়।

চলতি অর্থ বছরে জেলার ৭ উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌর এলাকার ৪ হাজার ৩২৫ জন কৃষক ভুট্টা, শীতকালীন মুগ, খেসারী, বিটি বেগুন ও বোরে ধান চাষের জন্য এ প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই পিরোজপুর জেলার কৃষকদের জন্য ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৭ টাকার বরাদ্দপত্র প্রদান করেছে এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় চাষীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে।

ভুট্টা চাষের জন্য ৫০০ বিঘা জমির ৫শ’ চাষীর প্রত্যেককে বিনামূল্যে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং পরিবহন ব্যয় বাবদ নগদ ১১২ টাকা নগদ প্রদান করা হবে। এর ফলে প্রত্যেক চাষীর পিছনে ব্যয় হবে ১৩০২ টাকা। পিরোজপুর সদরে ৭০ জন, ইন্দুরকানীতে ৫০ জন, কাউখালীতে ৬০ জন, নেছারাবাদে ৭০ জন, নাজিরপুরে ৯০ জন, ভান্ডারিয়ায় ৭০ জন এবং মঠবাড়িয়ায় ৯০ জনকে এ প্রণোদনায় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

শীতকালীন মুগ চাষের জন্য জেলার ১ হাজার ৫শ কৃষকের প্রত্যেককে প্রদান করা হবে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ৫ কেজি এমওপি সার এবং পরিবহনের জন্য নগদ ৭০ টাকা। পিরোজপুর সদরে ২শ’, ইন্দুরকানীতে ১৬০, কাউখালীতে ১৬০, নেছারাবাদে ১৫০, নাজিরপুরে ২০০, ভান্ডারিয়ায় ২৬০ এবং মঠবাড়িয়ায় ৩৭০ জন চাষীকে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। খেসারীর ডাল চাষের জন্য জেলার ১ হাজার ৫ শত কৃষকের প্রত্যেককে ৮ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ৫ কেজি এমওপি সার এবং পরিবহন বাবদ নগদ ৮১ টাকা প্রদান করা হবে। এ সহায়তা পাচ্ছে সদরের ২শ’, ইন্দুরকানীতে ১৫০, কাউখালীতে ১৬০, নেছারাবাদে ১৭০, নাজিরপুরে ২৫০, ভান্ডারিয়ায় ২৫০ এবং মঠবাড়িয়ায় ৩২০ জন কৃষক। বিটি বেগুন চাষের জন্য ২৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে দেয়া হচ্ছে ০.০২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং নগদ ২১৫ টাকা। সদরের ৪ জন, ইন্দুরকানীতে ৩ জন, কাউখালীতে ৩ জন, নেছারাবাদে ৪ জন, নাজিরপুরে ৩ জন, ভান্ডারিয়ায় ৪ জন এবং মঠবাড়িয়ায় ৪ জন এ সহায়তা পাবেন। বোরো ধান চাষে ৮শ’ চাষীর প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিওপি এবং ১০ কেজি এমওপি এবং নগদ ১২৩ টাকা প্রদান করা হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পিরোজপুর এর উপ পরিচালকের কার্যলয়ের
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান, সরকারের এ প্রণোদনা সহায়তায় চাষীদের মাঝে ভুট্টা, শীতকালীন মুগ, খেসারী, বিটি বেগুন এবং বোরো চাষাবাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ সকল রবিশস্যের উৎপাদন যথেষ্ট পরিমাণে এ জেলায় বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাবাদী।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন